পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেট্রপলিটন।
৪০৭

 প্রথম মেট্রপলিটনের জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয়কে নিজের অনেক অর্থ ব্যয় করিতে হইয়াছিল। বিদ্যালয়ের বেতন উচ্চশ্রেণী হইতে নিম্নশ্রেণী পর্যন্ত ৩৲ টাকা ছিল বটে, কিন্তু অনেক ছাত্রকেই বিনা বেতনে পড়াইতে হইয়াছিল। নবপ্রতিষ্ঠিত “ট্রেণিং একাডেমি” তখন “মেট্রপলিটনে”র ঘোর প্রতিদ্বন্দ্বী হইয়াছিল। মেট্রপলিটনের পসার-প্রতিপত্তি শীঘ্রই বাড়িয়া যায়। ক্রমে ছাত্রসংখ্যা বাড়িতে থাকে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অটুট যত্ন ও অধ্যবসায়ে এবং অনন্যপূর্ব্ব শিক্ষাপ্রণালী-গুণে “মেট্রপলিটন” একটা উচ্চশ্রেণীর ইংরেজী বিদ্যালয়ের মধ্যে পরিগণিত হয়। ক্রমে স্কুলের আয়ে স্কুলের কার্য্যনির্ব্বাহ ধাহ হইতে থাকে। তাঁহাকে ইহার জন্য ঘরের পয়সা বাহির করিতে হইত না। স্কুলের পয়সা তিনি কখন ঘরে লইয়া যান নাই।

 প্রথম প্রথম ৺ধারকানাথ মিত্র এবং কৃষ্ণদাস পাল এই স্কুল পরিচালন সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সাহায্য করিতেন। ইঁহারাও স্কুলের ম্যানেজার ছিলেন। স্কুলে এফ, এ, ক্লাস খুলিবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিণ্ডিকেটে যে আবেদন করা হয়, সেই আবেদনপত্রে ম্যানেজার বলিয়া ইঁহাদের স্বাক্ষর ছিল।

 ইংরেজী শিক্ষায় বহু হিন্দুসন্তানের নানা কারণে কুপ্রবৃত্তির উদ্রেক হয়। ইহা দেশের দুর্ভাগ্য; কিন্তু ইংরেজী এখন হইয়াছে অর্থকরী বিদ্যা। এই ইংরেজী শিক্ষাপ্রসারণের কৃতিত্ব বিদ্যাসাগর মহাশয় বহু কষ্টেই লাভ করিয়াছেন। মেট্রপলিটনের শিক্ষকতায় অনেক এদেশী ইংরেজী শিক্ষিত ব্যক্তির অর্ধার্জ্জনের উপায় সংস্থান হইয়াছে। মধ্যবিত্ত গৃহস্থ লোকেরা ইংরেজী