পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামগোপাল ঘোষ।
৪৪৩

ব’লবো, মার কথা ঠেলিবার নহে। ভাল, কাল তিনটার সময় এস, সভায় যাইব।” পরদিন বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সঙ্গে লইয়া রামগোপাল টাউন হলের সভায় গিয়া কলে শবদাহ করিবার প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ করেন। তাঁহার প্রতিবাদে প্রস্তাব রদ হইয়া যায়।”

 ১২৭৪ সালের ১৯ শে ফাল্গুন বা ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দের ১৮ই মার্চ্চ বুধবার বর্দ্ধমান-চকদিঘীর জমীদার সারদাপ্রসাদ রায়ের মৃত্যু হয়। সারদা বাবুর সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ঘনিষ্ঠতা ছিল। সারদা বাবু কোন বিষয়ে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মত না লইয়া চলিতেন না। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। পোষ্যপুত্র গ্রহণ করা উচিত কি না, একবার এ বিষয়ে তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে জিজ্ঞাসা করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় তাঁহাকে পোষ্যপুত্র লইতে নিষেধ কবিয়া স্কুলস্থাপন, ডিস্পোনসারি প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি হিতকর কার্য্যানুষ্ঠানের পরামর্শ দেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পরামর্শানুসারে সারদা বাবু ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে চকদিঘীতে একটা ডাক্তারখানা এবং ১২৬৮ সালর ১৮ই শ্রাবণ বা ১৮৬২ খৃষ্টাব্দে ১লা আগষ্ট একটা অবৈতনিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এই চকদিঘীতে এক দরিদ্র পরিবারকে বিদ্যাসাগর মহাশয় ১৫৲ টাকা করিয়া মাসহারা দিতেন। সারদা বাবুর মৃত্যুর পর তদীয় উইল সম্বন্ধে এক মোকদ্দমা হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহাতে সাক্ষী ছিলেন। সে কথা যথাস্থানে বিবৃত হইবে।

 বিদ্যাসাগর মহাশয় দারুণ ঋণভারগ্রস্ত, তবুও কিন্তু কাহাকে অর্থসাহায্য করা একান্ত আবশ্যক বিবেচনা করিলে,