পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আনুইটি ফণ্ড।
৫১১

করিয়াছিলেন, এ জন্য আপনাদের নিকট অকপট হৃদয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি। ঐ গুরুতর ভার বহন করিয়া যতদিন এই ফণ্ডের সংস্রবে ছিলাম, সেই সময় মধ্যে অবশ্যই আমি অনেক দোষে দোষী হইয়াছি; দয়া করিয়া, আপনারা আমার সকল দোষের মার্জ্জনা করিবেন। যতদিন আপনাদের ট্রষ্টি ছিলাম, সাধ্যানুসারে ফণ্ডের হিতচেষ্টা করিয়াছি, জ্ঞানপূর্ব্বক বা ইচ্ছাপূর্ব্বক কখনও সে বিষয়ে অযত্ন, উপেক্ষা বা অমনোযোগ করি নাই। এক্ষণে আপনারা প্রসন্ন হইয়া বিদায় দেন, প্রস্থান করি।

কলিকাতা, ১০ ফাল্গুন, ১২৮২ সাল।

ভবদীয়স্য

শ্রীঈশ্বরচন্দ্র শর্ম্মণঃ।

 অতঃপর ফণ্ডের সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আর কোন সংস্রব ছিল না। অনারেল রমেশচন্দ্র মিত্র ও রাজা (পরে মহারাজ) যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর ইহার পর ফণ্ডের সংস্রব ত্যাগ করেন। ফণ্ডের কর্ত্তৃপক্ষদিগকে সরকার বাহাদুরের আশ্রয় লইতে হইয়াছিল। বিদ্যাসাগরের সংস্রবত্যাগে ফণ্ডের অস্তিত্ব লোপ পায় নাই। অধুনা ফণ্ডের কার্য্য সুচারুরূপে চলিতেছে।

 বিদ্যাসাগর মহাশয় বড় উৎসাহে, ষোল আনা প্রাণ খুলিয়া; আনুইটি ফণ্ডের প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হইয়াছিলেন। প্রধান উদ্যোগী বলিয়া প্রথম গঠনবন্ধনে ইনি এই সমাজের ট্রষ্টি বা কর্ত্তানায়ক হইয়াছিলেন। এক বৎসর কাজ করিলেন। প্রথম বৎসর খর উৎসাহ-বেগ একটু কমিল; দ্বিতীয় বৎসর আর একটু; তৃতীয় বৎসরে বিদ্যাসাগরের প্রাণ এ বন্ধন আর সহিতে পারিল না। বিদ্যাসাগর বাঙ্গালী—এ যুগের ফুটন্ত বাঙ্গালী। এ যুগে বাঙ্গালী