পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পাদুকা-বিভ্রাট।
৫২১

কারপেটযুক্ত বিছানা বা কারুচিত্রিত নহে, তখন এরূপ নিষেধবিধির আবশ্যকতা বা কি? তা ছাড়া, পায়ে যাহাদের বিলাতী জুতা, কিন্তু আসিয়াছে পদব্রজে, তাহারা যখন প্রবেশ করিতে পাইতেছে, তখন তাহাদের সমান অবস্থাপন্ন লোকে পায়ে শুদ্ধ দেশী জুতা বলিয়া প্রবেশ করিতে পায় না কেন, ইহা আমি ঠিক করিতে পারিতেছি না। অবস্থা যাহাদের ইহাদেরও অপেক্ষা উন্নত, আসেন গাড়ী পাল্কী করিয়া, তাঁহাদিগের উপরই বা এরূপ নিষেধবিধি প্রবর্ত্তিত হয় কেন?

 পসার-প্রখ্যাতিতে নামে মানে হাইকোর্ট সকলের সেরা। সেখানেও যখন এরূপ ব্যবস্থা নাই, তখন সাধারণের আরাম-বিশ্রামের স্থানে এরূপ অসঙ্গত নিষেধ-বিধি দেখিয়া আমাকে অতি বিস্ময়াবিষ্ট হইতে হইয়াছে।

 এ কথা তুলিয়া আপনাদিগকে কষ্ট দিতে প্রথমে আমার ইচ্ছা হয় নাই। কিন্তু পরে ভাবিলাম যে, ট্রাষ্টিদিগের ন্যায় বিশিষ্ট এবং শিক্ষিত ভদ্র লোক কর্ত্তৃক এই পাদুকার ব্যবস্থা অনুমোদিত হইয়াছে; কিন্তু ইহারাই আপন বাটীতে অথবা জনসমাজে কথনও এই অসম্মানসূচক এবং বিরক্তিকর প্রথার সমর্থন করিয়াছেন বলিয়া প্রকাশ নাই; সুতরাং এ কথা তাঁহাদের কর্ণগোচর না করিলে, তাঁহাদের প্রতি অবিচার করা হইবে। অতএব আমার অনুরোধ, এ বিষয়ের মীমাংসা জন্য আপনি পত্রখানি অনুগ্রহ করিয়া ট্রাষ্টিদিগকে দেখাইবেন।

৫।২ ৭৪
(স্বাঃ) শ্রীঈশ্বরচন্দ্র শর্ম্মা।

 মিউজিয়ামের কর্ত্তৃপক্ষ এতৎসম্বন্ধে ইংরেজিতে যে পত্র সোসাইটীর কর্তৃপক্ষকে লিখেন, তাহার বঙ্গানুবাদ এই,—