পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মসী-যুদ্ধ।
৫৩৩

লটসন জনসন সাহেবকে প্রতিবাদ করিয়া যে পত্র লেখেন, তাহার মর্ম্ম এই,—

 “স্মৃতি শাস্ত্র এত একাণ্ড যে, এক জন মনুষ্য সমস্ত জীবনে তাহা সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ত করিতে পারে না। সংস্কৃত সাহিত্যে বুৎপন্ন, অথচ স্মৃতি ভাল জানেন, এমন লোক থাকা কিছু অসম্ভব নহে; কিন্তু নিতান্ত বিরল। প্রেসিডেন্সি কলেজের এক জন সাহিত্যের অথবা গণিতের অধ্যাপককে নিজের কাজ করিয়া আইনের অধ্যাপকতা করিতে বলিলে যেরূপ ফল হয়, ইহাতেও সেরূপ ফল হইবার সম্ভাবনা। ন্যায়রত্ন মহাশয়ের পাণ্ডিত্যের উপর আমার বিশেষ শ্রদ্ধা আছে। তবে এক জনের উপর এত অধিক ভার দিলে আইন-শিক্ষাও ভাল হইবে না। অন্যান্য শিক্ষাও ভাল হইবে না। হিন্দু-সমাজের ইচ্ছা, স্মৃতির এক জন স্বতন্ত্র অধ্যাপক থাকেন। ছোট লাট যে মতামত জানিয়া কার্য্য করিয়াছেন, ইহা তাঁহার বিশেষ অনুগ্রহ, সন্দেহ নাই। লোকের ইচ্ছা যেরূপ, তাহা আমি জানি; তথাপি, গেজেটে যখন আমার মত লওয়া হইয়াছে বলিয়া লেখা হইয়াছে, তখন দেশের লোক মনে করিবে, আমার বুঝি ঐরূপ অভিপ্রায়; কিন্তু আমার মত সম্পূর্ণ বিরোধী; ইহা প্রকাশ থাকা আবশ্যক।”

 ২৫শে মে তারিখে জনসন সাহেব এই পত্রের যে উত্তর দেন, তাহার মর্ম্ম এই,—

 “আপনার নিজের মত এরূপ নহে, তাহা ঠিক কথা; তবে অধ্যাপনা সম্বন্ধে ছোট লাটের মত এই, অধ্যাপকের স্মৃতি-অধ্যাপনাই প্রধান কার্য্য হইবে; অন্যান্য অধ্যাপনা নিম্নস্থান