পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৫২
বিদ্যাসাগর।

পাঠকের হৃদয়ঙ্গম হইবে, বাঙ্গালীর উপর বিদ্যাসাগরের সাহিত্য কিরূপ অধিকার বিস্তার করিত। উইলে দেবসেবাদির কোন উল্লেখ নাই। উহাতেও বিদ্যাসাগরের মতিগতির পরিচয়।

 ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে বর্ধমানচক্‌দিঘীর জমিদার সারদাপ্রসাদ রায়ের উইল-সংক্রান্ত, মোকদ্দমা উপস্থিত হয়। ১২৮৩ সালের ১৮ই ও ১৯শে শ্রাবণ বা ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দের ১লা এবং ২রা আগষ্ট বিদ্যাসাগর মহাশয় এই মোকদ্দমায় সাক্ষ্য দেন। উইল প্রকৃত নহে বলিয়া, সারদা বাবুর বিধবা স্ত্রী রাজেশ্বরী এই মোকদ্দমা রুজু করিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় বাদিনীর পক্ষে সাক্ষী ছিলেন। তাঁহাকে দুইদিন অসুস্থাবস্থায় সাক্ষ্য দিতে হইয়াছিল। চক্‌দিঘীর জমিদার পরিবারের সহিত তাঁহার কিরূপ ঘনিষ্ঠতা ছিল, এই সাক্ষ্যবাক্যে তাহার প্রমাণ। সাক্ষ্যে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনেক প্রাণের কথা বাহির হইয়াছিল। আত্মবাক্যে প্রাণের কথা প্রকাশ পায়। এই সাক্ষ্যবাক্যে ব্যক্তিগত অনেক ঐতিহাসিক ও সামাজিক তত্ত্ব জানিতে পারা যায়। সাক্ষ্য-বাক্য ইংরেজীতে লিখিত। আমরা তাহার অনুবাদ দিলাম,—

 মং ৮৯৫ হইতে ৮৭০—৪র্থ সাক্ষী ঈশ্বরচন্দ্র শর্ম্মা বিদ্যাসাগরের এজাহার। তারিখ ১৮৭৭ সালের ১লা এবং ২রা আগষ্ট।

বর্দ্ধমানের-পূর্ব্ববিভাগের দেওয়ানি আদালত।

উপস্থিত

বাবু নবীনচন্দ্র গাঙ্গুলি দ্বিতীয় সবর্ডিনেট্ জজ।

মকদ্দমার নং ১৮৭৫ সালের ৭৯ নং।

১৮৭৬ সালের ১লা আগষ্ট।