পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাক্ষ্য-বাক্য।
৫৫৫

লফোর্ড সাহেব, হীরালাল শীল, শ্রীরাম চাটুর্য্যে ও আমার সমক্ষে লিখিবেন এবং স্বাক্ষর করিবেন এবং লিখিবার পর রেজেষ্টারি করাইয়া লইবেন। পশ্চিম অঞ্চলে যাইবার পূর্ব্বে তাঁহার সহিত আমার এই কথাবার্ত্তা হয়। পূর্ব্বে যে কথাবার্ত্তা হইয়াছিল, তাহার বিষয় আমি পূর্ব্বে বলিয়াছি; কিন্তু এই কথাবার্ত্তা তারও পূর্ব্বে হইয়াছিল। যখন উইলের সম্বন্ধে কথাবার্ত্তা চলিতেছিল, তখনই ইহা নির্দ্ধারিত হইয়াছিল যে, মাননীয় ব্যক্তিসমূহ এই উইলের স্বাক্ষরকারী সাক্ষী হইবেন এবং ঐ উইল নিয়মিতরূপে রেজেষ্টারী করা হইবেক। হব্‌হাউস সাহেব বর্দ্ধমান বিভাগের একজন বিচারক ছিলেন এবং পরে তিনি হাইকোর্টের বিচারক হন। যখন আমি সারদা বাবুকে মাননীয় সাক্ষীসমূহের কথা বলি, তখন তিনি নিজেই ঐ তিন জন ভদ্র লোকের নাম করিয়াছিলেন। হগ্‌সাহেব এক্ষণে কলিকাতা পুলিসের কমিসনর। লফোর্ড সাহেব তখন বর্দ্ধমান বিভাগের মাাজিস্ট্রেট ছিলেন। তিনি এক্ষণে কোথায় আছেন, তাহা আমি জানি না। পূর্ব্বোক্ত শ্রীরাম চাটুর্য্যের নিবাস বর্দ্ধমান জেলার সাঁকোনাড়া গ্রাম। তিনি ঐ সময়ে পাকপাড়া রাজবাটীর একজন কর্ম্মকর্ত্তা ছিলেন। সারদা বাবুর সহিত তাঁহার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা এব বন্ধুত্ব ছিল। সারদা বাবু পুর্ব্বোক্ত হীরালাল শীলের বাটীতে মারা যান। আমার যত দুর স্মরণ আছে, তাহাতে আমি বিবেচনা করি যে, উইলের ঐ খসড়া শ্রীরাম চাটুর্য্যের স্বহস্তের লেখা। তিনি এখনও জীবিত আছেন। সারদা বাবু পশ্চিম হইতে ফিরিয়া আসিলে পর অন্য আর একটী বিষয়ের সহিত তাঁহার সঙ্গে উইলেরও কথা