পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাক্ষ্য-বাক্য।
৫৫৯

মৃত্যুমুখে পতিত হন, তখন আমি কলিকাতায়। সারদা বাবুর মৃত্যুর পর দিবস শ্রীরাম চাটুর্য্যে আমার নিকট আসিয়াছিলেন এবং বলিয়াছিলেন, বৃন্দাবনচন্দ্র রায় অত্যন্ত শোকসন্তপ্তহৃদয়ে বাটী চলিয়া গিয়াছেন এবং আমাকে আপনার নিকট—সারদা বাবু তাঁহার উইল লিখিয়া গিয়াছেন—ইহা বলিয়া পাঠাইয়াছেন এবং আপনি তাঁহার সমস্ত কীর্ত্তি বজায় রাখিতে যত্নবান হইবেন, আপনি উইলের বিষয় সমস্তই অবগত আছেন। এই কথা শুনিবার পর আমি ভাবিয়াছিলাম যে, তিনি মুখে যে উইলের কথা তাঁহার জীবদ্দশায় বলিয়াছিলেন, সেইরূপই উইল করিয়া গিয়াছেন। উইলের ক্রোড়পত্রের বিষয় আমি শ্রীরাম বাবুর নিকট হইতে কিছুই শুনি নাই। আমি শ্রীরাম বাবুকে উইলের একটী নকল পাঠাইয়া দিতে বলিয়াছিলাম। আমি ঐ নকল পাঠ করিয়া যদি কোন আপত্তিজনক বিষয় না দেখিতে পাই, তাহা হইলে আমি আমার সাধ্যমত সাহায্য করিব বলিয়াছিলাম। অল্পদিন পরেই ঐ উইল এবং উহার একটা ক্রোড়পত্রের নকল আমাকে পাঠাইয়া দেওয়া হইয়াছিল। আমার বোধ হয়, বৃন্দাবনচন্দ্র রায়ই ইহা পাঠাইয়া দেন। ঐ উইল এবং উহার ক্রোড়পত্র পাঠে আমি কতকটা বিস্মিত হই। কারণ আমি ভাবিয়াছিলাম, ঐ উইল যথাসময়ে সম্পন্ন হইয়াছে। আমার বোধ হয়, আমি শ্রীরাম বাবুর নিকট হইতে শুনিয়াছিলাম যে, এই উইলের বিষয় তিনি বলিয়াছিলেন। আমি তখন বুঝিতে পারি নাই যে, প্রথমে কেন উইল এবং তাহার পরে ক্রোড়পত্র লিখিত হয়। শ্রীরাম চাটুর্য্যে যাহা বলিয়াছিলেন, তাহাতে আমি বুঝিলাম যে, সারদাবাবু