পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাক্ষ্য-বাক্য।
৫৬৭

আমার মনে নাই। আমি চক্‌দিঘীতে রাজেশ্বরীর পিতাকে দেখিয়াছি। আমি আরও চক্‌দিঘীতে তাঁহার ভ্রাতা ব্রজকৃষ্ণকে দেখিয়াছি। গুরুদয়াল রাজেশ্বরীর পিতা ওরফে বিরজা আমাকে পত্র লিখেন নাই। গুরুদয়াল একবার কলিকাতায় আমার সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য আসিয়াছিলেন; কিন্তু আমার মনে নাই, চক্‌দিঘী হইতে ফিরিয়া আসিবার কত দিন পরে আসিয়াছিলেন। সম্ভবতঃ ২।৩ বৎসরের পরে হইতে পারে। তিনি আমায় বলিয়াছিলেন যে, তিনি তাঁহার কন্যার বিষয় সম্বন্ধে কথা কহিতে আসিয়াছেন। তাহাতে অমি বলিয়াছিলাম, আমি ওকথা শুনিব না। আমি শুনিয়াছিলাম যে, বিষয়তত্ত্বাবধায়কদিগের মধ্যে গোলবোগ চলিতেছে এবং বিষয়ের ভাল রকম ব্যবস্থা হইতেছে না; তজ্জন্য আমি তাড়াতাড়ি বলিয়াছিলাম যে, আমি ওকথা শুনিব না। সারদা বাবুর মৃত্যুর অল্প দিন পরে কোন ব্যক্তি তাঁহার বিষয়ে বিশৃঙ্খলা ঘটাইয়াছে কি না, তাহা আমি শুনি নাই। কিন্তু আমার বোধ হয়, দুই মাস পরে যখন আমি বাটীতে ছিলাম, তখন আমি বৃন্দাবন রায়ের নিকট হইতে একখানি পত্র পাইয়াছিলাম, তাহাতে ঐ গোলমালের কথা লেখা ছিল। তাহা হইতে বুঝিলাম যে, রাজেশ্বরী অন্য লোকের পরামর্শ লইয়াছে এবং উইল সম্বন্ধে গোলযোগ করিতেছে। ৬নং কাগজে সাক্ষী দৃষ্টি করিয়া বলিয়াছিলেন—আমি এই পত্র লিখি। আমার বোধ হয়, বৃন্দাবনচন্দ্র যে পত্র লেখেন এবং যাহার কথা পূর্ব্বে বলিয়াছি, এই পত্রে তাহার জবাব লেখা হইয়াছিল। এই পত্রের শিরোনামা আমার হস্তের লেখা। চিঠি দেখিয়া বলিতে পারি না, বৃন্দাবনচন্দ্রের পত্রের উত্তৱে এইরূপ লিখিয়াছিলাম কি না। (চিঠিখানি সাক্ষীকে শুনাইয়া পড়া