পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপাধি।
৫৭৯

রিত দিন উপস্থিত থাকিতে হয়। না থাকিলে পরীক্ষা দিবার অধিকার থাকে না। এ নিয়মপালনের প্রতি বিদ্যাসাগরের দৃঢ় দৃষ্টি ছিল। এ নিয়মভঙ্গে প্রত্যবায় আছে, এই ধারণায়, কলেজের অধ্যাপক মাত্রকেই তিনি এ সম্বন্ধে সাবধান থাকিতে উপদেশ দিতেন। কাহারও ত্রুটি বোধ হইলে বিদ্যাসাগর তাহাকে ভর্ৎসনা করিতেন। একবার রীপণ কলেজ হইতে একজন বি, এ, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন। তাঁহার উপস্থিতি-নিয়মে ত্রুটি ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে এ কথা বিদিত করেন। তাহা লইয়া হুলস্থূল বাধিয়াছিল। রীপণ কলেজের কর্ত্তা সুরেন্দ্র বাবু বেশ অপ্রস্তুত হইয়াছিলেন। অতঃপর সকল কলেজকে এ সম্বন্ধে সাবধান হইতে হইয়াছিল।

 ১২৮৭ সালে বা ১৮৮০ খৃষ্টাব্দে বিদ্যাসাগর মহাশয় গবর্ণমেণ্টের নিকট সি, আই, ই, উপাধি প্রাপ্ত হন। তিনি প্রথমতঃ উপাধি-প্রহণে অসম্মত হন। পরে উপরোধ এড়াইতে না না পরিয়া উপাধি গ্রহণ করেন; সনন্দ লইতে কিন্তু দরবারে যান নাই।

 ইহার পর তিনি কলেজের বাড়ী নির্ম্মাণের ভাবনায় বিব্রত হইয়াছিলেন। তিনি বৎসর-প্রায় আর কোন বিশিষ্ট সাধারণ জ্ঞাতব্য কার্য্য করেন নাই।

 ১২৮৯ সালে বা ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষা হইতে ঋজুপাঠ তৃতীয় ভাগ উঠিয়া যায়। ষোল বৎসর কাল এই পুস্তক পাঠ্যান্তর্ভুত ছিল। ঋজুপাঠ উঠিয়া যাওয়ায়, অনেকটা আয় হ্রাস হইয়াছিল। এই সময় বিদ্যাসাগর একটু বিব্রত হইয়াছিলেন; কিন্তু বিচলিত হন নাই। ইহার পূর্ব্বে স্কুলের