পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শেষ।
৬০৩

শ্মশানে স্বচক্ষে বিদ্যাসাগরের সংস্কার দেখিয়া মর্ম্মস্পর্শিনী ভাষায় লিখিয়াছিলেন,—“অই জাহ্নবী-বক্ষে ধূ ধূ করিয়া চিতার আগুন জ্বলিতেছে! ঐ আগুনে বাঙ্গালার সর্বনাশ হইতেছে! বাঙ্গালীর পিরামিড ভস্মসাৎ হইতেছে! ঐ ধু ধু করিয়া আগুন জ্বলিতেছে! ঐ আগুনে বাঙ্গালার সম্মান-গৌরব পুড়িয়া ছাই হইতেছে। ঐ জ্বলন্ত আগুনে বাঙ্গালীর প্রধান গর্ব্ব— প্রধান অহঙ্কার পুড়িয়া যাইতেছে। ঐ চিতার আগুনে আজ কত কি ফুরাইল। কত কাঙ্গাল গরীবের মাতা পিতা হারাইল। কত হৃদয় আজি আশা-ভরসা হারা হইল। শ্রাবণের মেঘ স্তম্ভিত হইয়া দেখিতেছে! বিশ্বব্রহ্মাণ্ড স্তম্ভিত হইতেছে! ঐ চিহ্ন ফুরাইয়া আসিতেছে।”

 সৎকারান্তে কাঙ্গালী বিদায় করিয়া সকলেই বেলা প্রায় দুই প্রহরের সময় বাড়ী ফিরিয়া আসেন। প্রায় দশ বার দিন বিদ্যাসাগরের ভক্তবৃন্দ মধ্যে মধ্যে শ্মশানে চিতা-চিহ্নের পার্শ্বে সকীর্ত্তন করিয়াছিলেন।