পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৬৪৩

আপন পক্ষ যেরূপ যোগ্যতা ও তেজস্বিতার সহিত সমর্থন করেন, তাহাতে কি বিচারপতিগণ, কি ব্যবহারজীবগণ, কি জনসাধারণ সকলেই দ্বারকানাথের অসাধারণ শক্তি দর্শনে বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া পড়েন। অল্প দিনের জন্য ইনি হাইকোর্টের জুনিয়র প্লিডার পদে কার্য্য করিয়া ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দে জুন মাসে শম্ভুনাথ পণ্ডিতের মৃত্যুজনিত শূন্য বিচারাসন অধিকার করেন। ৭ বৎসর কাল হাইকোর্টের বিচারপতি পদে আধিষ্ঠিত থাকিয়া ইনি যেরূপ ব্যবহার-জ্ঞান, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, তর্কশক্তি ও নির্ভীকতার পরিচয় দিয়াছিলেন, তাহা কেবল বাঙ্গালীর পক্ষে কেন, অনেক ইংরাজ বিচারপতির পক্ষেও দুর্লভ। প্রসিদ্ধ “অসতী” মোকর্দ্দমার বিচারে হাইকোর্টে এই নিষ্পত্তি হয় যে, হিন্দু-বিধবা অসতী হইলেও বিষয়চ্যুত হইবে না। এই বিচারের বিরুদ্ধে ফুল বেঞ্চের সমক্ষে আপিল করা হয়। দ্বারকানাথ ফুল বেঞ্চের অন্যতম জজ ছিলেন। সহ—বিচারকগণ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। কিন্তু দ্বারকানাথ ভিন্ন মত প্রকাশ করিয়া হিন্দু-ব্যবহারজ্ঞান ও যুক্তির প্রাখর্য্য যেরূপ বিশদভাবে দেখাইয়াছিলেন, তাহাতে দেশবাসিগণের নিকট তিনি অগণ্য প্রশংসাবাদের পাত্র হইয়াছিলেন। এই বিচার দ্বারকানাথের পীড়া ও মৃত্যুর অল্পদিন পূর্ব্বেই ঘটিয়াছিল। তিনি কয়েক মাস ধরিয়া কণ্ঠের ভিতর ক্ষয়রোগে পীড়িত হন। পীড়িতাবস্থায় ইনি জম্মস্থান দেখিবার ইচ্ছা করেন। পরিবর্ত্তনে মঙ্গল হইতে পারে এই ভাবিয়া চিকিৎসকগণ ইঁহার দেশ গমনে সম্মতি দেন। সেইখানেই ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দে ২রা মার্চ্চ দ্বারকানাথ দেহত্যাগ করেন। জীবনের শেষ ভাগ পর্য্যন্ত ইঁহার ___ হ্রাস হয় নাই। ইনি প্রত্যক্ষবাদী (Pori___এবং ফরাসী ভাষায় লিখিত এই ধর্ম্মের