পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৬৪৫

বিধান করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে ইনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার এবং ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দে (খখন বাঙ্গালার প্রজা- সম্বন্ধীয় আইন বিধিবদ্ধ হইতেছিল) বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভার অন্যতম সভ্যরূপে গবর্ণমেণ্ট কর্ত্তৃক মনোনীত হন। উভয় সভাতেই কৃষ্ণদাস সর্ব্বতোমুখী প্রতিষ্ঠা ও তেজস্বিতার বিশেষ পরিচয় দিয়াছিলেন। কি গবর্ণমেণ্টের উচ্চতম কর্ম্মচারিগণ, কি জমিদারগণ,কি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ভদ্রলোকগণ, সকলেই সময়ে সময়ে কৃষ্ণদাসের পরামর্শ গ্রহণ করিতেন। সরকারী ও বেসরকারী সাহেবেরা ইঁহাকে যথেষ্ট ভক্তিশ্রদ্ধা করিতেন এবং ইঁহার অনুরোধে তাঁহারা অনেক বঙ্গবাসীর উপকার করিতেন। কৃষ্ণদাস নিজে অত্যন্ত আড়ম্বরশূন্য ছিলেন। তাঁহার কৃতজ্ঞতা যেরূপ, পরোপকারিতাও সেইরূপ ছিল। তাঁর বক্তৃতাশক্তি যেরূপ, লিখন-শক্তিও সেইরূপ ছিল। শব্দাড়ম্বর বা ভাষার সৌন্দর্য্য অপেক্ষা যুক্তি এবং প্রমাণ প্রয়োগাদি দ্বারা কিরূপে আলোচ্য বিষয় বিশদ ভাবে শ্রোতা বা পাঠকের হৃদয়ঙ্গম হইবে, সেই দিকেই তাঁহার অধিকতর দৃষ্টি ছিল। তিনি বলিতেন, রাজকর্ম্মচারিগণের সহিত সদ্ভাব রাখিয়া চলিলে তাঁহাদের নিকট হইতে যেরূপ কাজ পাওয়া যায়, চোখ রাঙাইয়া সেরূপ পাওয়া যায় না। কার্য্যতঃ সেইরূপই ঘটিত। ইনি সাহেবদের নিকট বিশেষ প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছিলেন বলিয়াই দেশের ও দেশবাসিগণের অনেক উপকার করিতে পারিয়াছিলেন। ইনি জমিদারগণের বন্ধু ও পরামর্শদাতা ছিলেন বটে, কিন্তু মধ্যবিত্ত বা নিম্নশ্রেণীর স্বত্ত্বের জন্য আপনার লেখনী বা জিহ্বার পরিচালনা করিতে কখনও বিস্মৃত হইতেন না। ইঁহার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও অসাধারণ ___ ছিল। ইলবার্ট বিল যখন বড়-