পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৫৬
বিদ্যাসাগর।

মোহন রায় শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করিয়া হ্যালিডে সাহেব (যিনি পরে বঙ্গের ছোট লাট হইয়াছিলেন) ইঁহাকে ডাকাইয়া আনেন এবং রাজশাহীর ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট পদে নিযুক্ত করেন। পরে ইঁহাকে কলিকাতায় আনাইয়া সহরের জুনিয়ার ম্যাজিষ্ট্রেটের পদে বসাইয়া দেন। এই সময়ে ইঁহারই অধীনে মাইকেল মধুসূদন দত্ত দ্বাভাষীর পদে কিছুদিনের জন্য কার্য্য করেন। কিশোরী চাঁদ এই কার্য্য হইতে অবসর লইতে বাধ্য হইয়া সাহিত্যক্ষেত্রে নিজ শক্তির পরিচালনা করেন। ইনি ‘ইণ্ডিয়ান্ ফিল্ড’ নামক একখানি সাপ্তাহিক পত্র প্রকাশ করিতেন। এই পত্র উত্তরকালে হিন্দু-পেট্রিয়ট পত্রের সহিত মিলিত হয়। কলিকাতা রিভিউ পত্রের অনেক প্রবন্ধ কিশোরী চাঁদ কর্ত্তৃক লিখিত হইত। টেরিটোরিয়াল এরিষ্টোক্রেসি অব্ বেঙ্গল (Territorial Aristocracy of Bengal) অর্থাৎ বঙ্গের জমিদারগণ শীর্ষক ধারাবাহিক প্রবন্ধ ইঁহারই লেখনীসম্ভূত এবং অনুসন্ধান ও অধ্যবসায়ের ফল। দ্বারকানাথ ঠাকুরের একখানি জীবনচরিত ইনি প্রণয়ন করেন। রাজনৈতিক ব্যাপারেও ইনি যোগদান করিতেন এবং সাধারণ সভায় সময়ে সময়ে বক্তৃতাও করিতেন। ১৮৭৩ খৃষ্টাব্দে ৬ই আগষ্ট ইনি দেহত্যাগ করেন। কিশোরী চাঁদ প্যারিচাঁদ মিত্রের কনিষ্ঠ ভ্রাতা ছিলেন। কিন্তু ভ্রাতৃদ্বয়ের মধ্যে প্রকৃতিগত পার্থক্য অনেক। প্যারিচাঁব্দ আধ্যাত্মিক ভাবাপন্ন ছিলেন। কিশোরী চাঁদ অনেকটা জড়বাদীর ন্যায় দৃষ্ট হইতেন।