পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৬৫৯

গণিতে অধিকতর পারদর্শিতা দেখান। পরে বিবাহিত হইয়া অনিচ্ছাসত্ত্বে পিতৃ কর্ত্তৃক সল্ট বোর্ডের (Salt Board) অধীনে একটী সামান্য কর্ম্মে নিয়োজিত হন। দুর্গাচরণ এক দিন উক্ত বোর্ডে দেওয়ান স্বনামখ্যাত দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া নিজের পাঠতৃষ্ণার অতৃপ্ততার কথা জ্ঞাত করেন। দ্বারকানাথ দুর্গাচরণের পিতাকে ডাকাইয়া পুত্রকে আবার হিন্দু কলেজে অধ্যয়নের জন্য প্রেরণ করিতে বলেন। কলেজে প্রেরণ করা হইল বটে, কিন্তু অর্থের অসচ্ছলতা হেতু দুই এক বৎসর থাকিয়া শিক্ষা সমাপ্ত না করিয়া দুর্গাচরণ কলেজের শিক্ষা বন্ধ করিতে বাধ্য হন। এই সময় সাহিত্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ পাঠে দুর্গাচরণ, অধিকতর মনোনিবেশ করিলেন। দুর্গাচরণ ২১ বৎসর বয়সে হেয়ার সাহেবের ইংরাজী বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শিক্ষকের পদ গ্রহণ করিলেন এবং সাহেবের অনুমতি লইয়া প্রত্যহ দুইঘণ্টা কাল মেডিকেল কলেজে যাইয়া ডাক্তারী বিদ্যা শিখিতে লাগিলেন। ডাক্তারী শিক্ষার কারণ নিয়ে বিবরিত করা হইল। একদিন বিদ্যালয়ে অধ্যাপনা কালে শুনিলেন যে, ইঁহার স্ত্রী কঠিন রোগাক্রান্ত হইয়াছেন। তৎক্ষণাৎ গৃহে আসিয়া দেখিলেন যে রোগীর অবস্থা বড়ই মন্দ। তখনই ডাক্তার অন্বেষণে বহির্গত হইলেন, কিন্তু ডাক্তার সঙ্গে করিয়া আসিবার পূর্ব্বেই রোগী প্রাণত্যাগ করে। দুর্গাচরণ ভাবিলেন যে, ঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়াতে তাঁহার স্ত্রীর প্রাণবিয়োগ ঘটে। সেই সময় হইতেই ইনি পিতার অমতেও চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষায় যত্নবান্ হইলেন। জোন্স সাহেব হেয়ার স্কুলের অধ্যক্ষ হইয়া দুর্গাচরণকে যে প্রত্যহ দুইঘণ্টা সময় অবসর দেওয়া হইত, ত___য়া দিলেন। দুর্গাচরণ অতঃপর শিক্ষ-