পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৬৭৭

নামক তিনখানি পুস্তক রচনা করেন। ইনি দীর্ঘকাল সাতিশয় যোগ্যতার সহিত এডুকেশন গেজেট পত্রের সম্পাদকত্বও করিয়াছিলেন। প্যারিচরণ সরকার ইহার সম্পাদন ভার ত্যাগ করিলে গভর্ণমেণ্ট ভূদেবের হস্তেই ইহা অর্পণ করেন।

 পরন্তু ভূদেবের সর্ব্বোপরি অক্ষয়কীর্ত্তি তাঁহার নিঃস্বার্থ দানশীলতা সংস্কৃত শাস্ত্রের চর্চ্চাকল্পে ইনি প্রায় দুই লক্ষ টাকা দান করেন এবং তাহার সুপরিচালন জন্য পিতার নামে “বিশ্বনাথ ট্রষ্ট ফণ্ড” নামে একটা ফণ্ড গঠন করিয়া গিয়াছেন। অধুনা এডুকেশন গেজেট পত্রের আয়ত্ত এই ফণ্ডে উৎসর্গীকৃত হয়। তদ্ভিন্ন ইনি নিজ বাসস্থান চুঁচুড়াতে পিতার নামে “বিশ্বনাথ চতুষ্পাঠী” নামে একটা সংস্কৃত বিদ্যালয় এবং মাতার নামে “ব্রহ্মময়ী ভেষজালয়"নামে একটা দাতব্য দেশীয় বৈদ্যক চিকিৎসালয় স্থাপন করিয়া গিয়াছেন। ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে ১৬ই মে ইহার পরলোক গমন ঘটে।


রমেশচন্দ্র দত্ত।

 ইনি কলিকাতা রামবাগানের দত্তবংশ-সম্ভূত। রসময় দত্তের ভ্রাতা পীতাম্বর দত্তের পৌত্র ও ঈশান চন্দ্র দত্তের মধ্যম পুত্র। ১৮৪৮ খৃষ্টাব্দে ১৩ই আগষ্ট রমেশচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দে সিভিল সার্ভিস্ পরীক্ষা দিবার জন্য ইনি, বিহারীলাল গুপ্ত ও সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ইংলণ্ডে যান। ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে তিন জনই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

 রমেশচন্দ্র পরীক্ষোত্তীর্ণ ছাত্রগণের মধ্যে তৃতীয়স্থান অধিকার করেন। ১৮৭১ খৃষ্টাব্দে রমেশ্চন্দ্র বঙ্গদেশেই কার্য্যে নিযুক্ত হন।