পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৮৬
বিদ্যাসাগর।

তেম। কিন্তু সামান্য কারণে গভর্ণমেণ্টের সহিত মতের মিল না হওয়ায় ইনি সম্পাদকের কার্য্য পরিত্যাগ করেন। ইঁহার প্রণীত ফার্ষ্ট বুক, সেকেণ্ড বুক প্রভৃতি শিশুপাঠ্য ইংরাজী পুস্তক সর্ব্বত্র গ্রসিদ্ধ। ১২৮২ সালের ১৫ই আশ্বিন (১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে ৩০শে সেপ্টেম্বর) ৫২ বৎসর বয়সে বহুমূত্র রোগে ইঁহার মৃত্যু হয়। ইঁহার শিক্ষকতা কার্য্যে রগবী স্কুলের আরনল্ড সাহেবের ন্যায় পারদর্শিতার জন্য সকলে ইঁহাকে আরনল্ড অব দি ইষ্ট(Arnold of the East) বলিত। ইনি বড় মিষ্টভাষী, সরলান্তঃকরণ ও সামাজিক লোক ছিলেন। ছাত্রগণকে ইনি পুত্রের ন্যায় স্নেহ করিতেন এবং তাহারা ইঁহাকে পিতার ন্যায় ভক্তি ও সন্মান করিত।

প্রসন্নকুমার ঠাকুর।

 ইনি গোপীমোহন ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র। জন্ম ১৮•৩ খৃষ্টাব্দে। ইনি ধনবান্ হইলেও কলিকাতা সদর দেওয়ানি আদালতে ওকালতী করিয়া স্বশ্রেণীর মধ্যে স্বাধীনভাবে অর্থোপর্জ্জনের পথ প্রদর্শন করিয়া ছিলেন। ইনি ওকালতী করিয়া উপার্জন করিতেন। কিছুদিন ইনি গভর্ণমেণ্ট প্লিডারের কার্য্যও করিয়াছিলেন। ১৮৩৮ খৃষ্টাব্দে যখন গভর্ণমেণ্ট লাখেরাজ জমী বাজেয়াপ্ত করিবার প্রস্তাব করেন,তখন প্রসন্নকুমার “বেঙ্গল হরকরা” নামক সংবাদপত্রে এ সম্বন্ধে তীব্রভাবে আলোচনা করেন। এই প্রস্তাব কার্য্যে পরিণত হইল এবং সরকারী তহশীলদারগণের