পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৬৮৯

বঞ্চিত করিয়াছিলেন এবং ঐ বিষয় প্রথমে ভ্রাতু-ষ্পুত্র যতীন্দ্রমোহন এবং তাহার পর ঠাকুর বংশের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ যথাক্রমে পাইবেন, উইলে এইরূপ ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছিলেন। এই উইল লইয়া বহুদিন পর্য্যন্ত মোকৰ্দমা হয়, পরে প্রিভি কাউন্‌সিলের বিচারে ধার্য্য হয় যে, যতীন্দ্রমোহন জীবিতকাল পর্য্যন্ত এই বিষয়ের উপস্বত্ব ভোগ করিবেন, পরে তাঁহার সমস্ত বিষয় জ্ঞানেন্দ্রমোহনের হস্তে স্থায়িভাবে আসিবে। মহারাজ যতীন্দ্রমোহনের প্রদত্ত প্রসন্নকুমারের প্রস্তরময়ী মূর্ত্তি লর্ড রিপণের দ্বারা উন্মোচিত হইয়া কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোপানের উপর বিদ্যমান আছে।

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।

 ইনি একজন বিখ্যাত বাঙ্গালী কবি। কাঁচড়াপাড়ানিবাসী বৈদ্যজাতীয় হরিনারায়ণ গুপ্তের দ্বিতীয় পুত্র। বাঙ্গালা ১২১৩ সালে ইঁহার জন্ম হয়। বাল্যকাল্যে ইনি বড় দুরন্ত ছিলেন; লেখাপড়ায় ইঁহার তাদৃশ মনোযোগ ছিল না। গ্রাম্য পাঠশালায় সামান্য বাঙ্গালা লেখা পড়া শিথিয়াছিলেন। কিন্তু ইঁহার অসাধারণ মেধা ও স্মৃতিশক্তি ছিল। একবার যাহা শুনিতেন, তাহাই আয়ত্ত করিয়া ফেলিতেন। কথিত আছে যে, ইনি ১৭।১৮ বৎসর বয়সের সময় দেড়মাসের মধ্যে মুগ্ধবোধ ব্যাকরণের মিশ্র পর্য্যন্ত অর্থ সহিত কণ্ঠস্থ করিয়াছিলেন। বাল্যকাল হইতেই ইঁহার কবিতা লিখিবার সথ ছিল। এই সময়ে ইঁহার জ্যেষ্ঠতাত-পুত্ত্র মহেশচন্দ্রের সহিত ইঁহার কবিতার লড়াই হইত। মহেশচন্দ্র একজন স্বভাব-কবি

৮৭