পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৬৯৭

শাস্ত্রের অধ্যাপক পদে নিযুক্ত করেন। পরে ১২৬৯ সালে হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হইলে ইনি তাহার বিচারপতি-পদে উপবিষ্ট হন। ভারতবাসীদের ভিতর রমাপ্রসাদ রায়ই প্রথমে হাইকোর্টের জজ হইবার সনন্দ পান। কিন্তু বিচারালয়ে বসিবার তাহার অবসর হয় নাই, ইহার অগ্রেই তাঁহার মৃত্যু ঘটে। স্বতরাং এই আদালতে শম্ভুনাথকে এদেশীয় প্রথম বিচারপতি বলিয়া গণ্য করা হয়। ইনি এখানে সবিশেষ ন্যায়পরায়ণতা ও সুখ্যাতির সহিত ১৮৬৭ খৃষ্টান্ধ পর্যন্ত প্রায় ৫ বৎসর কাল বিচারকার্য্য নির্ব্বাহ করেন। হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত “হিন্দু পেট্রিয়টে” ইনি আইন বিষয়ক যে সকল প্রবন্ধ লিখিতেন, তাহা পাঠে উচ্চ আদালতের বিচারপতিগণ পর্য্যস্ত মুক্তকণ্ঠে ইহার প্রশংসা করিতেন। ইহার হৃদয় অতিশয় সরল ও উদার ছিল। ভৃত্যগণকে পর্যন্ত কখন তুমি ভিন্ন তুই বলিয়া সম্বোধন করিতেন না। ইনি ভবানীপুর ব্রাহ্মসমাজের সভাপতি ছিলেন। ১২৭৪ সালে ২৪শে জ্যৈষ্ঠ (১৮৬৭ খৃঃ ৬ই জুন) ৫৮ বৎসর বয়সে ইনি দেহত্যাগ করেন।

হরচন্দ্র ঘোষ।

 ইঁহার পিতার নাম হলধর ঘোষ। হুগলি বাবুগঞ্জে ১৮১৭খৃষ্টাব্দে ইনি জন্মগ্রহণ করেন। ইঁহার আদিবাস খানাকুলকৃষ্টনগর। ইঁহার পিতা হলধর কার্য্যোপলক্ষে হুগলিতে আসিয়া বাস করেন।ইনি ২০ বৎসর বয়স পর্য্যস্ত আরবী ও পারসী ভাষা শিক্ষা করেন।

৮৮