পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৭০৩

হিন্দু কলেজে প্রবিষ্ট হন এবং অল্প দিনের মধ্যেই তথাকার পাঠ শেষ করেন। পরে ইনি কলিকাতা পাব্লিক লাইব্রেরীর ডেপুটী লাইব্রেরীয়ান পদে নিযুক্ত হন এবং ক্রমে তাহার সেক্রেটারী ও লাইব্রেরীয়ান পদে উন্নীত হন। কিন্তু অল্পদিন পরেই ইনি চাকুরীতে জবাব দিয়া ব্যবসায় কার্য্যে প্রবৃত্ত হন এবং তাহাতে প্রভূত অর্থ ও সন্মান উপার্জন করেন। ইনি “কলিকাতা রিভিউ” নামক ইংরাজী পত্রে বহু প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন এবং স্বয়ং 'মাসিক পঞ্জিকা' নামে একখানি মাসিক পত্রিক সম্পাদন করিয়া বঙ্গভাষার যথেষ্ট উন্নতি সাধন করিয়াছিলেন। ইঁহার প্রণীত “আলালের ঘরের দুলাল’ বঙ্গ সাহিত্যে এক অপূর্ব্ব গ্রন্থ। ইনি অতিশয় মাতৃভক্ত ছিলেন। প্রত্যহ প্রাতে উঠিয়া মার পাদোদক পান না করিয়া অন্য কার্য্যে মনোনিবেশ করিতেন না। ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দে ২৩শে নবেম্বর ইনি দেহত্যাগ করেন। ইনি বৃটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েসন ও কলিকাতায় থিয়সফিক্যাল সোসাইট প্রতিষ্ঠা কার্য্যে বিশেষ যোগদান করিয়াছিলেন। ইনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় থাকিয়া পশুক্লেশ নিবারণ বিষয়ক আইন পাশ করেন। ইনি একদিকে যেমন প্রেততত্ত্ব ও অধ্যাত্মবিদ্যার আলোচনা করিতেন, অপর দিকে তেমনই বঙ্গভাষা ও সমাজ সংস্কার কার্য্যেও মনোযোগী ছিলেন। ইঁহার রহস্যপ্রিয়তা শেষ বয়স পর্যন্ত সমভাবে বিদ্যমান ছিল। ১৮৬০ খৃষ্টাব্দে ইঁহার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। কথিত আছে, তাঁহার প্রেতাত্মা স্থূল শরীর ধারণ করিয়া মধ্যে মধ্যে প্যারিচাঁদের সহিত কথাবার্ত্তা কহিতেন। প্যারিচাদের লিখিত পুস্তকগুলির মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি বিশেষ উল্লেখ যোগ্য,—আলালের ঘরের দুলাল, রামারঞ্জিকা, মদ খাওয়া বড়