পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭১৮
বিদ্যাসাগর।

wicked the great (দুষ্টের শিরোমণি) এই উপাধি পাইয়াছিলেন। ইঁহার পিতা অতিশয় দানশীল ও পরোপকারী ছিলেন। তাঁহার প্রচুর আয় ছিল বটে, কিন্তু তিনি কিছুমাত্র সঞ্চয় করিতে পারিতেন না। পুত্রের এইরূপ উচ্ছৃঙ্খলতা ও পাঠে অমনোযোগ দেখিয়া তিনি একদিন আক্ষেপ করিয়া পুত্রকে বলিয়াছিলেন, “বৎস! লেখা পড়া না করিলে তোমাকৈ কষ্ট পাইতে হইবে, আমি তোমার জন্য একটা পয়সাও রাখিয়া যাইতে পারিব না।” ১৮৬৩ খৃষ্টাবো নবীনচন্দ্র চট্টগ্রাম স্কুল হইতে প্রবেশিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দে গ্রেসিডেন্সি কলেজ হইতে এফ-এ পাশ করেন। নানাকারণে ইঁহার পিতা এই সময় খরচ বন্ধ করিলে ইনি ছেলে পড়াইয়া সেই আয়ের দ্বারা বি, এ, পড়িতে লাগিলেন; এই সময়েই ইঁহার পিতার মৃত্যু হয়। জনপ্তর ইনি ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দে বি,এ, পাশ করেন এবং কয়েক মাসের মধ্যে প্রতিযোগী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট পদ প্রাপ্ত হন। ইনি বাল্যকাল হইতেই অত্যন্ত কবিতা-প্রিয় ছিলেন। পাঠ্যাবস্থাতেই ইনি বিবিধ বিষয়ক কবিতা লিখিয়া অনেক মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত করিতেন। প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক স্বৰ্গীয় প্যারিচরণ সরকার যখন এডুকেশন গেজেটের সম্পাদক, সেই সময় নবীনচন্দ্রের অনেক কবিতা এডুকেশন গেজেটে মুদ্রিত হয়। এ বিষয়ে প্যারিচরণ ইঁহাকে বিশেষ উৎসাহ দিতেন। ইঁহার যৌবনকালের রচনায়ও বিলক্ষণ কবিত্বশক্তি দৃষ্ট হয়। ১২৭৮ সালে ইঁহার অবকাশ রঞ্জিনী বাহির হয়। কবি সুকৌশলে আপনার জীবনের সুখ দুঃখের কাহিনী এই কাব্যে সন্নিবিষ্ট করেন। অনন্তর ১২৮২ সালে ইঁহার