পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা
৭১৯

'পলাশীর যুদ্ধ’ কাব্য প্রকাশিত হয়। এই পুস্তক প্রকাশিত হইলে ইনি যে একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক, তাহা সকলেই বুঝিঙে পারিলেন। এই 'পলাশীর যুদ্ধ’ কাব্য নাটকাকারে পরিণত হইয়া বহুবার বঙ্গীয় নাট্যমঞ্চে সুখ্যাতির সহিত অভিনীত হইয়াছিল। অতঃপর কবিবর ক্রমে রঙ্গমতী, রৈবতক, কুরুক্ষেত্র, অমিতাভ প্রভূতি কাব্য প্রণয়ন করেন। এ সকল কাব্যেই ইনি সাধারণের নিকট যথেষ্ট প্রতিষ্ঠালাভ করেন। ফলতঃ নবীনচন্দ্র একজন স্বভাব-কবি ছিলেন। বঙ্গভাষা চিরকাল নবীন চন্দ্রের নিকট ঋণী থাকিবে।


মহেন্দ্রলাল সরকার।

 (ডাক্তার)ইনি ১৮৩৩ খৃষ্টাব্দে ২রা নবেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দে এম, ডি, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হ। ইনি Bengal Branch of the British Medical Association নামক সভার সেক্রেটারী ও সহকারী সভাপতি থাকার সময় উক্ত সভার সমক্ষে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রণালীর বিরুদ্ধে মন্তব্য প্রকাশ করেন। কিন্তু পরে ইঁহার মত পরিবর্ত্তিত হয়। (১৮৬৭ খৃঃ)। তখন ইনি প্রকাশ্যভাবে হোমিওপ্যাধির সপক্ষে দণ্ডায়মান হইলেন এবং নূতন অবলম্বিত মতের বহুল প্রচার করে পরবৎসর Calcuta Journal of Medicine নামক মাসিক পত্র প্রতিষ্ঠিত করিয়া উহার সম্পাদনভার গ্রহণ করিলেন। মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত ইনি এই পত্রখানি অতিশয় যোগ্যতার সহিত চালাইয়াছিলেন। মত পরিবর্ত্তনের ফলে এলোপ্যাথিক প্রণালীর চিকিৎসকগণের