পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শিক্ষার অবস্থা।
৫৫

জনয় সদর দেওয়নীর কাগজপত্র পাঠাইয়া দিয়া থাকেন। * * এক দিন সন্ধ্যার পর আমাকে পিতাঠাকুর তাঁহার লিখিবার ঘরে ডাকিলেন। ডাকিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করিয়া দিলেন। আমি বুঝিতে পারিলাম না যে ব্যাপারটা কি? তাহার পর দেখিলাম, তিনি একটী দেরাজ খুলিয়া একটি কর্কস্ক্রুপ ও একটি সেরীর বোতল ও একটি গুয়াইন গ্লাস বাহির করিলেন। তৎপরে প্রকাণ্ড টিনের বাক্স খোলা হইলে আমি দেখিলাম যে, তাহাতে সদর দেওয়ানীর কাগজ নাই, পোলাও, কোপ্তা রহিয়াছে। পিতাঠাকুর আমাকে বলিলেন,—“তুমি প্রত্যহ সন্ধ্যার পর আমার সঙ্গে এই সকল দ্রব্য আহার করিবে; কিন্তু সেরী মদ দুই গ্লাসের অধিক পাইরে না; যখনই শুনিব, অন্যত্র মদ খাও, সেই দিন অবধি এই খাওয়া বন্ধ করিয়া দিব। কিন্তু আমি এইরূপ পরিমিত পানে সন্তুষ্ট হইতাম না। অন্যত্র পান করিতাম। এইরূপ অপরিমিত মদ্যপানে আমার একটি পীড়া জন্মিল।”

 হিন্দু কলেজে পড়িয়া অনেক হিন্দুসন্তান পাশ্চাত্য সাহিত্য বিজ্ঞানে পারদর্শিতা লাভ করিয়াছিলেন সন্দেহ নাই, কিন্তু পাশ্চাত্য শিক্ষায় তাহদের অনেকের কিরূপ মতিগতি ঘটিয়াছিল, তাৎকালিক অধ্যাপক হোরেশ হেমান উইলসন সাহেবের রিপোর্টে তাহা প্রকাশ পাইয়াছে। তাঁহার কথা এইখানে উদ্ধৃত করিলাম;–

 “An impatience of the restrictions of Hinduism and a disregard of its ceremonies are openly avowed by many young men of respectable birth and talents,”