পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ সে স্নেহময়ী বৃদ্ধ নাই, যে দুধের বাটি, কি লাউট শস্যাটা হাতে আসিয়া তাহাকে খাওয়াইবার জন্য পীড়াপীড়ি করিবে, দুটা মিষ্ট কথা বলিবে } নিঃসঙ্গ ঘরের রোগশয্যায় এক মরিল, কেহ আপনার জন ছিল না। যে একটু মুখে জল দেয়। কে জানে, তাহার পিতা স্বৰ্গগত বিনোদ চাটুজ্জে পুরাতন বন্ধুর মৃত্যুশয্যাপার্শ্বে অদৃশ্য চরণে আসিয়া অপেক্ষা করিতেছিলেন কি না ? বুড়ী ভালবাসা কাহাকে বলে জানিত। বিনোদ চাটুজ্জে মহাশয় পরলোকগমন করিলে পর আর সে ভাল করিয়া হাসে নাই, ভাল কবিয়া আনন্দ পায় নাই জীবনে । তাহাকে ছুটিয়া দেখিতে আসিত এইজন্য যে, তাতার মুখে-চোখে হবে-ভাবে স্বৰ্গীয় নায়েব মহাশয়েব অনেকখানি ফুটিযা বাহিৰ হয় । কৰ্ত্ত মহাশয়েরই ছেলে, কৰ্ত্তা মহাশয়ের তরুণ প্ৰতিনিধি ৷ তাতার সঙ্গে দুইটা কথা কহিয়াও সুখ । আজ সে বোঝে, এই যে মানীবি সম্বন্ধে কথা বলিতে তাতার ইচ্ছা! হয়, কাহারও সঙ্গে অন্তত কিছুক্ষণ সে কথা বলিয়াও সুখ, না বলিলে भन् পাইযা উঠে, দেখা তো হইতেছেই না, তাঙ্গার উপর তাহার সম্বন্ধ কথা না বলিলে কি করিয়া টিকিয়া থাকা যায়-এ রকম তো কামিনী মাসীরাও হইত। তাচার বাবার সম্বন্ধে ! অভাগিনী যে আনন্দ হয তো পাষ নাই প্ৰথম জীবনে, ৬/বিনোদ চাটুজ্জে নায়েব মহাশয়ের সাহচর্য্যে তাহা সে পাই যাছিল। তাহার বঞ্চিত নারী-হৃদয়ের সবটুকু কৃতজ্ঞতা প্রেমের আকারে ঢালিয়া দিয ছিল তাই নায়েব মহাশয়ের চরণযুগলে । কি পাইয়াছিল, কি না পাইয়াছিল, আজ তাহা কে বা ঝিবে ? ত্রিশ বছর পরে কে বুঝিলে মানী তাহার জীবনে কি অমৃত পরিবেশন করিয়াছিল একদিন ? 为令9