পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপিন বলিল, খুব ভাল আছি। তুমি যে মাথায় খুব বড় হয়ে” গিয়েছ মানী ? --বিপিনদা, ওরকম ক’রে কথা বলছি কেন ? আমি কি নতুন লোক এলাম ? বিপিনের মনে পড়িল, মানীকে সে কখনো ‘তুমি’ বলে নাই, চিরকাল “তুই’ বলিয়া আসিয়াছে ; এখন অনেক দিন পরে দেখা, প্রথমটা একটু সঙ্কোচ বোধ করিতেছিল, বলিল, কলকাতার লোক এখন তোরা, তুই কি আর সেই পাডাগায্যের ছোট্ট মানীটি আছিস ? --তুমি কি আমাদের কাছারিতে কাজে ঢুকেছ ? -হঁ্যা । না। ঢুকে কবি কি, সংসার একেবারে অচল। তোৰ কাছে বলতে কোনও দোষ নেই মানী, যেদিন এখানে এলুম। এবার, না। তাতে একটি পদ্যসা, না ঘবে একমুঠো চাল। আর ধর লেখাপড়াই बi दि अनि, दिछूछे न । --কিন্তু তুমি এখানে টিকতে পারবে না বিপিন দা ! তুমি ঘোৰ থামখেয়ালী মানুষ, তোমায আর আমি চিনি নে ? বিনোদককে যে রকম ক’রে কাজ ক’বে টিকে থেকে গিয়েছেন, তুমি কি তেমন পারবে ? আজই কি সব করেছ, দু তিন টাকা খরচ ক’রে দিয়েছ-মা বলছিলেন বাবাকে । বলিয়া মানী হাসিল । বিপিন বলিল, যদি খবচই ক’বে থাকি, সে তো তোদেরই জন্যে { তুই এসেছিস এতকাল পরে, একটু ভাল মাছ না খেতে পেলে তুষ্ট ষ্ট বা কি ভাববি ? মানী মুখ টিপিয়া হাসিয়া বলিল, মহল থেকে মাছ আনলে না কেন ? -কে মাছ দেবে বিনি। পয়সায় তোমাদেব মহালে ? বাবার আমলের সে ব্যাপার। আর আছে নাকি ? এখন লোক হয়ে গিয়েছে চালাক, তাদের চোখ কান ফুটেছে । তোমার মা কি সে খবর রাখেন ? R R