প্ৰাচীন এবং নবীন SQd লেখা পড়া শিখিব ? কেন ? তোমাদের মুখচন্দ্ৰ দেখিয়া যে সুখ, লেখা পড়ায় কি তাত ? তোমাদের সুখসাধনে যে ধৰ্ম্মশিক্ষা, লেখা পড়ায় কি তাত ? দেখ, তোমাদের দেখিয়া আমরা আত্মবিসর্জন শিখিয়াছি, লেখা পড়ায় কি তাহা শিখাইবে ? আর লেখা পড়া শিখিব কখন ? তোমাদের মুখ ভাবিতে ভাবিতে দিন যায়, ছাই লেখা পড়া শিখিব क५न् ? ছি । দাসীদিগের নিন্দ । শ্ৰীলক্ষ্মীমণি দেবী । 9 ভাল, কোন রসিকচুড়ামণি “নবীন এবং প্ৰবীণা” লিখিলেন ? লেখক মহাশয়! তুমি যা বলিয়াছ, সব সত্য-একটি মিথ্যা নহে। আমরা অলস বটে,-কিন্তু আমরা অলস না হইয়া, কাজ করিয়া বেড়াইলে, তোমাদের দশা কি হইত ? এ বিজরি তোমাদের হৃদয়াকাশে স্থির না থাকিলে, কাহার প্রতি চাহিয়া, এ দীর্ঘ দুঃখদারিদ্র্যময় জীবন কাটাব্দীতে ? এ সৌদামিনী স্থির না থাকিলে, তোমরা এ সংসারান্ধিকারে কোথায় আলো পাইতে ? আমরা কাজ করিব ? করিব, ক্ষতি কি, কিন্তু দেখা যেন, আমাদের তিলেক না দেখিয়া, তোমরা তৈলীশূন্য প্রদীপের মত হঠাৎ নিবিয়ু বসিও না ; জলশূন্য মাছের মত বার বার পুচ্ছ আছড়াইতে থাকিও না ; আর রাখালশূন্য বাছুরের মত হাম্বারবে তোমাদের গৃহ গোহালি পরিপূর্ণ করিও না। আমরা কাজ করিতে যাইব, কিন্তু তোমরা এ ঢল ঢল চঞ্চল রূপতিরঙ্গ যে দেখিতে পাইবে না । এ কলকণ্ঠ ধ্বনি ক্ষণেক না। শুনিলে যে গীতিমুগ্ধ হরিণের ন্যায় সংসারারণ্যে শব্দম্বেষণ করিয়া বেড়াইবে ।--কপাল খান ! আবার বলেন কি না, কাজ করে না ! আমরা অতিথি অভ্যাগতকে খাইতে দিই না। ;-দিব কি, তোমরা যে ঘরে কিছু রাখ না । ইংরেজের অ্যাপিসের কি গুণ বলিতে পারি না-যাইবার সময় যাও যেন নন্দদুলাল-ফিরে এস যেন কুম্ভকৰ্ণ । নিজের নিজের উদর- এক একটি আধামণি বস্তাআমরা যেই হিন্দুর মেয়ে, তাই তাহাতে কোন মতে ত্রিশ সেরা ঠাসিয়া দিই।--তার উপর আবার অতিথি অভ্যাগত ! ধৰ্ম্মের বন্থনে বঁাধিবেন ? ক্ষতি নাই, কিন্তু যে একাদশী নিরামিষের বঁাধনে বঁাধিয়া রাখিয়াছেন, তার উপর এ বন্ধনে আর কাজ কি ? আপনারা একাদশীর ভার নিন, আমরা লেখা পড়া শিখিয়া,-ধৰ্ম্মের বন্ধন আঁটো কবিয়া বঁধিতে রাজি আছি । আমার মনে বড় সাধ, একবার আপনাদিগের সঙ্গে অবস্থার বিনিময় করি । গালিগালাজ দিবার আগে, Rà
