\OO8 বিবিধ প্ৰবন্ধ-দ্বিতীয় ভাগ আদিপুরুষ বলিয়া বর্ণনা আছে।।*।। মনু বলিয়াছেন যে, অয়োগবি অর্থাৎ শূদ্র হইতে বৈশ্যাতে উৎপাদিতা স্ত্রীর গর্ভে নিষাদের ঔরসে মার্গব বা দাস জন্মে । আৰ্য্যাবৰ্ত্তে তাহাদিগকে কৈবৰ্ত্ত বলে।ণ আমরকোষাভিধানে কৈবৰ্ত্তাদিগের নাম কৈবৰ্ত্ত, দাস, ধীবর । পূর্বেই দেখান গিয়াছে যে, ঋগ্বেদ সমালোচনায় দাস নামে অনাৰ্য্যজাতি পাওয়া যায়। দাস, ধীবর, কৈবৰ্ত্ত, তিনই এক। যদি দাস ও ধীবর অনাৰ্য্য হইল, তবে কৈবৰ্ত্তও অনাৰ্য্যজাতি । এক্ষণে বাঙ্গালায় কৈবৰ্ত্ত্যের মধ্যে কতকগুলি চাষা কৈবৰ্ত্ত ; কতকগুলি জেলে কৈবৰ্ত্ত। পূর্বে সকলেই মৎস্যব্যবসায়ী ধীবর ছিল, সন্দেহ নাই। তাহাদিগের সংখ্যা বৃদ্ধি হইলে কতকগুলি কৃষিব্যবসায় অবলম্বন করিল, তাহারাই চাষা কৈবৰ্ত্ত । ধোবারা ঐ রূপ কেহ কেহ চাষ করিয়া চাষাধোপা বলিয়া পৃথক জাতি হইয়াছে। পুণ্ড বা পৌণ্ড, নামে প্রাচীন জাতির উল্লেখ মম্বাদিতে পাওয়া যায়। মনু লিখিয়াছেন যে, পৌণ্ডক প্রভৃতি জাতি ক্রিয়ালোপহেতু বৃষলত্ব প্রাপ্ত হইয়াছে। পৌণ্ডকদিগের সঙ্গে আর যে সকল জাতি গণনা করিয়াছেন, তাহাদিগের মধ্যে যবন ও পহিলাব ভারতবর্ষের বাহিরে । ভিতরে সকলগুলিই অনাৰ্য্য ; যথা “পৌণ্ড, কাশ্চৌড়দ্রাবিডাঃ কাম্বোজ। যবনাং শকা: | পারদা; পহলবাশচীনা: কিরাত দরদাঃ খাসা: ||” ঐতরেয় ব্ৰাহ্মণে আছে, “অন্ধ পুণ্ড সবারা পুলিন্দা মুতিব ইতু্যদন্ত বহবো ভবন্তি ।” মহাভারতেও এই পুণ্ড আদিগের কথা আছে। সভাপর্বে আছে যে, ভীম দিগ্বিজয়ে আসিয়া পুণ্ডাধিপতি বাসুদেব এবং কৌশিকিকচ্ছবাসী মনৌজ রাজা, এই দুই মহাবলপরাক্রান্ত বীরকে পরাজয় করিয়া বঙ্গরাজের প্রতি ধাবমান হইলেন । বঙ্গ আধুনিক বাঙ্গালার পূর্বভাগকে বলিত। এখনও সাধারণ লোকে সেই প্ৰদেশকেই বঙ্গদেশ বলে। ভীম পশ্চিম হইতে আসিয়া যে দেশ জয় করিয়া বাঙ্গালার পুর্বভাগে প্ৰবেশ করিলেন, সে দেশ অবশ্য বাঙ্গালার পশ্চিমভাগে । উইলসন সাহেবও স্বকৃত বিষ্ণুপুরাণানুবাদে ভারতবর্ষের ভৌগোলিক তত্ত্ব নিরূপণকালে বাঙ্গালার পাশ্চমাংশেই
- "নিষাদ বংশকৰ্ত্তা সৌ বভুব বদতাং বরং । ধীবরানসূজচ্চাপি বেণকল্মষাসম্ভবান ॥” + "নিষাদো মাৰ্গবং সুতে দাসং নৌকৰ্ম্মজীবিনং। কৈবৰ্ত্তমিতি যং প্ৰাছাৱাৰ্য্যাবৰ্ত্তনিবাসিনঃ ॥’
भग९श्डिों, eिभ अक्षांश, ७8 6नांक ।