পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপায় কি । তাহার দাম বেশী । কিন্তু বিলাতী শিল্প সম্পাদিত হয়, কলে। কলে যে কত কাষ কত অল্প সময়ে সম্পন্ন হয় তাহা প্ৰত্যক্ষ না করিলে সম্যক হৃদয়ঙ্গম হয় না । সুতরাং কলের জিনিস শাস্তা। বিলাতী এবং দেশী ধুতির দাম তুলনা করিলে তাহার কত প্ৰভেদ, কে না জানেন ? অথচ কলের সুতা হইতেই দেশী ধুতি তৈয়ার হয় ! এক্ষণে হস্তনৈপুণ্যের দিন অতীত হইয়াছে ; আজ কাল কল কৌশলের রাজ্য , পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের যতই উন্নতি হইতেছে, ততই কলাকৌশলের বৃদ্ধি হইতেছে, ততই অল্প পরিশ্রমে সচরাচর ব্যবহাৰ্য্য জিনিস প্ৰস্তুত হইতেছে, এবং ততই তাহার দাম কমিতেছে। এরূপ অবস্থায় হস্ত-নিৰ্ম্মিত জিনিসের মরণ নিশ্চয় । আমাদের প্ৰাচীন শিল্পের পুনর্জীবন, প্ৰাচীন উপায়ে অসম্ভব ; নবজীবন সম্ভব, আধুনিক উপায়ে। আধুনিক বিজ্ঞানোস্তাবিত উপায় অবলম্বন ব্যতীত আমাদের গতি নাই। ইহার জন্য দুইটি বিষয়ের বিশেষ প্ৰয়োজন । ১ম । বিজ্ঞান শিক্ষার, বিশেষতঃ যেরূপ শিক্ষা শিল্পে প্রয়োজনীয়, তাহার বিস্তার । আধুনিক পাশ্চাত্য শিল্পের মূলভিত্তি বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের উন্নতিই পাশ্চাত্য শিল্পের উন্নতিয় মূল কারণ । এদেশে বিজ্ঞানের চর্চা নাই বলিলেও বোধ হয় অত্যুক্তি হয় না । সাধারণের ইহাতে অস্থা নাই ; বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চেষ্ট । আমরা যে শিক্ষা চাঈ, তা হাতে কেরানিগিরি বা ও কালতী ভিন্ন জীবন ধারণের প্রায় অন্য কোন উপায় অবলম্বন করিতে সক্ষম হই না । কলম ও বাক্য ব্যতীত শিক্ষিত বাঙ্গালীর জীবন-সংগ্রামের অন্য কোন অস্ত্ৰ