বঙ্গদেশের ঋতু সকল। > R থাকায় অনেকেই কবিতলালগ্নগণ্ড হইয়া বসিয়া আছ। গ্রীষ্মের ইচড় এইবােব দাবিদ্রেব উদব পূরণেব নিমিত্ত কঁাটালে পৰিণত হইয়াছে, অন্ন রসের ফৱেব মধ্যে লেবু ও আন্নাবসে দেশ ভরিয়া গেল, এবং ধনী ব্যক্তিবা অধিক মূল্যে বেহারেয় ও মালদহের আস্ত্ৰে বসন পবিতৃপ্ত করিতে ব্যস্ত হইলেন। বাঙ্গালীর নিত্য ব্যবহাৰ্য্য চাউল, ডাইল ও আলুৰ মূল্য বৃদ্ধি পাইতে লাগিল এবং কচু কুষ্মাণ্ড কঁচকলা ও নাবিকেল প্রধান তরকাৰী রূপে পবিগণিত হইল। গৃহস্থ আব্ব সে পযসায় সে পবিমাণ আহাব দিয়া বালকগণকে তৃপ্ত কবিতে পাবতেছেন না। এদিকে মালের যোগান অপেক্ষ টান অধিক থাকায় মহাজন, ব্যাপাবী ও দোকানদাবেব নৌকা গুলিতে নদীস্রোত পবিপূর্ণ হইতে লাগিল। স্কুলেব বালকেবা এই সময় জলে ভিজিয়া প্ৰাণ ভবিয়া ফুটবল খেলিতেছে এবং মুডি মািটব ঝালছোলা ও চিনেব। বাদাম খাইয়া কখন জীবগ্ৰস্ত ও কখন উদবাময় পীডায আক্রান্ত হইতেছে। এদিকে অল্পবয়স্ক বালকেরা যখনই জলস্রোত পাইতেছে তখনই কাগজেব নৌকা ভাসাইতেছে। রথেব সময় বালকেব। যেমন আনন্দ পল্লীবিধবা ও নিম্নশ্রেণীর ছেলেদেব ও সেইরূপ আনন্দ । পল্লীব ভদ্র ব্যক্তিবাও এই সময় গাছেৰ চাবা ক্রয় কবিতে মহা ব্যস্ত । এবাব কেন বথ চলিল না। চাকা বসিয়া গেল , অন্যবাব "কেন ভাল চলিয়াছিল ও অধিক লোক কাটা গিয়াছিল এবং এক এক জন কতবার ঘথেব দভী, স্পর্শ কবিতে সমর্থ হইয়াছিল, এই লইযা অনেক তর্ক বিতর্ক উপস্থিত হয়। কেহ কেহ নিকটাত্মীয়কে বথচক্রে অথবা পীডায় হত বা মৃত হইতে দেখিয়া মনঃকষ্টে গৃহে প্ৰত্যাগত হইতেছে এবং, কেহবা প্রয়োজনীয় ও সখেব সামগ্ৰী ক্ৰয কবিয়া উপহার গ্ৰাহকদিগেব ভাবী আনন্দ মানসনেত্ৰে অবলোকন করিয়া পুলকভাবে গন্তব্য পথের ক্লেশ ভুলিয়া যাইতেছে।
