እ ዓb” বিবিধ প্ৰবন্ধ । কলিকাতার কোন বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসা কবিলাম কি কি স্থান দর্শন করা উচিত তাহার উত্তরে বুঝলাম যে তিনি যে স্থানে কৰ্ম্ম করেন সেইস্থান ও যাদুঘব কালিঘাট ও আলিপুরের চিডিয়াখানা, নাচঘর গডের মাঠ, কেল্লা, গঙ্গাতীর ইত্যাদি অতি অল্প সংখ্যক স্থানের विषा তিনি অবগত আছেন। পবে আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করিলাম ষে কলিকাতা কোন কারণে এত প্ৰসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। তখন বুঝিলাম কলিকাতা বাণিজ্য ও আধুনিক শিক্ষাবিস্তারের স্থান বলিয়া বিশিষ্ট হইয়াছে । এ কাবণে এইদিক দিয়া কলিকাতা দেখিবার চেষ্টা कदिवान् । প্ৰথমে কলেজ স্কোযার গিয বিশ্ববিদ্যালয় ও চতুষ্পাশ্বস্থ কলেজ সমুদায় দেখিলাম। পরে মনে হইল যাহাদের উদ্যমে শিক্ষাবিস্তারের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভব হইযাছে তাহদের কীৰ্ত্তি স্মবাণার্থে যে চিহ্ন আছে তা হাই দেখিব । গোলদীঘিব দক্ষিণ দিকে সামান্য প্ৰকাবে রক্ষিত ডেভিড হেয়ারের কবিব দেখিলাম। যে মহাপুরুষের চেষ্টাষ। ইংরাজী শিক্ষার বিস্তাব সম্ভবপর হইয়াছে তাহার স্মৃতি বাক্ষাথে বাহাড়ম্বর প্ৰিয় কলিকাতাবাসীবি সমধিক চেষ্টা নাই বুঝিতে পারিলাম। পরে গোলদীঘির পশ্চিম ধারে দয়ার সাগর বিদ্যাসাগবের প্রতিমূৰ্ত্তি দেখিলাম । সুলভে শিক্ষাবিস্তারের বন্দোবস্তের পথপ্ৰদৰ্শিত না হইলে আজ এত অধিক বিদ্যার্থী ও পরীক্ষার্থীর সম্ভাবনা হইত না। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়েরও এত শ্ৰীবুদ্ধি হইত না । একারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখে এই প্রস্তব মূৰ্ত্তি দেখিযা সন্তুষ্ট হইলাম। ইস্কুলের সংখ্যার আধিক্য দেখিযা প্ৰথমে মনে হইল বুঝিব। দয়ার সাগরেব অনুকরণে অনেক মহাত্মা অনুপ্ৰাণিত হইয়া সুলভে বিস্তাদানের আগার স্থাপন করিয়াছেন। পরে অনুসন্ধানে জানিলাম যে বিদ্যাসাগব মহাশয়ের দানে তঁাহার ইস্কুল কলেজ প্রতিপালিত এবং অন্যান্য ইস্কুল কলেজের দানে সেগুলির
