মাতৃভক্তি ও পিতৃভক্তি । V) প্ৰণোদিত না হইয়া আমােবই মঙ্গল-কামনায় কাতব কণ্ঠে ভক্তি পূর্ণ হৃদয়ে দেবতাব নিকট অবিবত প্রার্থনা কবিযাছেন, তঁাঙ্গাবাই আমাব প্ৰত্যক্ষ দেবতা । তথাপি তেঁহাদেব উপব অভিমান কবিয়াছি, বাগ কবিয়াছি ও তঁহাদিগকে বিবক্ত কবিয়াছি। কিন্তু তঁহাদেব কি অদ্ভূত ক্ষমা গুণ । জগতে অপব কে কাহিচাকে এরূপ ক্ষমা কবিতে পাবেন ? কে মনে মনে আশ্বস্ত হইতে পাবেন যে বড় হইলে ছেলেব ঐ দোষ কখনই থাকিবে না । এই সকল গুণেব বিষয় চিন্তা কবিযই সংসাবে স্বৰ্গসুখ অনুভব কাবা যায় { পণ্ডিতে বা তদগতচিত্ত হইয়া বোধ হয এই নিমিত্তই বলিয়াছেন জননী ও জন্মভূমি স্বৰ্গ অপেক্ষা শ্ৰেষ্ঠ এবং পিতাই ধৰ্ম্ম, পিতাই স্বৰ্গ এবং পিতাই পবম তপস্যা । এই যে ভক্তি ও স্নেহেব কথা বিবৃত হইল তাহা কেবল মানব জীবনেই সম্ভবপব , কাবণ উৎকৃষ্ট সুস্বাদু দুর্লভ ফল পাইলে মাতাপিত সন্তানকে না দিয ভক্ষণ কবিতে পাবেন না, কিন্তু ইতব জন্তুদেব মধ্যে মাতাপুত্রে বা পিতাপুত্রে অনেক সমষ কলহ হইয়া থাকে। কৰ্ত্তব্য-জ্ঞান আমব বড় হইষা লাভ কবি , কাবণ যাহা কবা উচিত তাহাই কৰ্ত্তব্য এবং কোন কাৰ্য্য কবা উচিত, বা না কিবা উচিত, তাহা বিশেষ জ্ঞান না হইলে বিচাবি কবা যায় না। এই জ্ঞান লাভ কবিয়া, মাতা পিতা প্ৰতিদানেৰ প্ৰত্যাশা না কবিলেও তেঁাচাদেব সৰ্ব্বতোভাবে প্রীতি বিধান কিবা মানব-জীবনেব। প্ৰধান কৰ্ত্তব্য ও শ্রেষ্ঠ ব্ৰত বলিয়া, বামচন্দ্র, ধম্মবাজ যুধিষ্ঠিব, ইত্যাদি অনেক মহাপুরুষ এই সকল ব্ৰত উদ্যাপিত কবিয়া স্ব স্ব জীবন সার্থক কবিয়াছেন ।
