(দয়ার প্রবেশ।)
দয়া। “দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর” এখানেও ঐ নাম শুনি, যেখানে যাই ঐ নাম, হেথায় গিরিমালাও কি শোকভরে ঐ মধুর নাম প্রতিধ্বনি কচ্ছে? আহা ও কে দুটী বসে, আহা দিব্যি ছেলেটি, সঙ্গে স্থবির ব্রাহ্মণ, বোধ হয় পথিক পথশ্রান্তে কাতর; কে বাছা তোমরা এখানে বসে? তোমরা কি পথশ্রমে কাতর হয়েছ?
ব্রাহ্মণ। পৌত্রটা আমার অতি শিশু, আমারও দিন ফুরিয়ে এসেছে, এই রৌদ্রে পর্ব্বত পথে চলে বড়ই কাতর হয়েছিলাম বটে, কিন্তু বাছা তোমার মুখ দেখে, তোমার মিষ্ট কথা শুনে ক্লান্তি যেন কোথায় চলে গেল, দেহে যেন নূতন বল পেলেম, কে মা তুমি? কোথায় বাড়ী তোমার মা? কার ঘর তুমি আলো করেছ?
দয়া। বাছা, ঘর আমার বিষ্ণুপুর,
মনে কল্লেই কাছে, মনে কল্লেই দুর।
আমীর বাপের নামটা দয়াময়,
নাম কল্লে যম পায় ভয়,
আমি তাঁর মেয়ে বলে,
আমায় লোকে দয়া বলে;
ঐশ্বর্য্যের তাঁর নাই সীমানা,
লুটুক ষে সে নাইক মান।
বাবার সবার প্রতি দয়া,
কেবল মেয়েকে নাই মায়া;