পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठूलक्र| e * না। সেই সেই স্থানের ভূতত্ত্ব, চতুঃসীমা ও উৎপন্ন দ্রব্যাদির সহিত বর্তমান নির্দিষ্ট স্থানাদির ভূতত্ত্বাদির গোঁসাগু হইলে তবে সেই সেই প্রাচীন জনপদাদির কতকটা সন্ধান পাওয়া যাইতে পারে। আমরা লঙ্কা-সম্বন্ধে পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রীয় মতানুসারে লঙ্ক ও সিংহল দুইটি স্বতন্ত্র দ্বীপ। এখন দেখা যাউক, কোন স্থানকে আমরা লঙ্কা বলিতে পারি। g অগ্নিপুরাণে লিখিত আছে— “ত্রিংশযোজনবিস্তীর্ণাং স্বর্ণপ্রাকারতোরণাম। দক্ষিণস্তোদধেস্তরে ত্ৰিকূটাে নাম পৰ্ব্বত: । শিখরে তস্ত শৈলস্ত মধ্যমেহম্বুধিসন্নিধৌ। পতত্রিভিশ্চ দুঙ্গাপাং টঙ্কচ্ছিন্নাং চতুর্দিশম্। শক্ৰাৰ্থং মংস্কৃত পূৰ্ব্বং প্র্যাবহবৎসরে । ৰসস্তু তত্ৰ দুৰ্দ্ধৰ্ষা: সুখং রাক্ষসপুঙ্গবা: ৷” দক্ষিণ সাগরের তীরে ত্রিকূট নামক পৰ্ব্বত আছে, সেই পৰ্ব্বতের মধ্যম শিখরে সাগরের নিকটে ৩০ যোজন-বিস্তীর্ণ স্বর্ণপ্রাকার ও তোরণাদিশোভিত লঙ্কাপুরী। এই পুরী পক্ষিদিগেরও দুর্গম। পূৰ্ব্বকালে ইন্দ্রের জন্য বহু বৎসর ধরিয়া বস্থযত্নে আমার (বিশ্বকৰ্ম্ম ) স্বারা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। হে দুৰ্দ্ধৰ্ষ রাক্ষসগণ ! সেই স্থানে মুখে বাস কর । রামায়ণেও লিখিত আছে,— “দক্ষিণস্তোদধেস্তরে ত্রিকুটাে নাম পৰ্ব্বত: ॥ ২২ সুবেল ইতি চাপ্যন্তে দ্বিতীয়ে রাক্ষসেখরাঃ। শিখরে তস্ত শৈলন্ত মধ্যমেহম্বুসিন্নিভে ॥২৩ শকুনৈরপি তুঙ্গাপে টঙ্কচ্ছিন্নে চতুৰ্দ্দিশি। ত্রিংশ যোজনবিস্তীর্ণ শতযোজনমায়ুত ॥ ২৪ স্বর্ণপ্রাকারসংগীত হেমতোরণসংবৃতা। ময়া লঙ্কেতি নগরী শক্রাজ্ঞপ্তেন নিৰ্ম্মিত ॥” ২৫ ( উত্তরকাও ৫ম সৰ্গ । ) হে রাক্ষসগণ! দক্ষিণসাগরের তীরে ত্রিকূট নামক পৰ্ব্বত এবং তাহার মত আর একটি সুবেল নামক পৰ্ব্বত আছে। সেই শৈলের মধ্যম শিখর মেঘসদৃশ, বিশেষতঃ পাষাণ সকল চারিদিকে বিকীর্ণ হওয়ায়, উহা পক্ষীদিগেরও দুর্গম । আমি (বিশ্বকৰ্ম্ম ) সেই শিখরে ইঞ্জের আদেশে লঙ্কা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছি, ঐ নগরী ত্রিশষুেজনুবিস্তৃত, একশত যোজন আয়ত, স্বর্ণপ্রাকার-শোভিত এবং হের্মময় তোরণে পরিবৃত । আবার অপর স্থানে লিখিত আছে,— “শিখরস্তু ত্রিকূটন্ত প্রাংগু চৈকং দিবিশৃশম্। সমস্তাৎ পুষ্পসংস্থয়ং মহারঞ্জতসন্নিভম্। [ x8w J लशहां শতযোজনবিস্তীর্ণ বিমলং চারুদৰ্শনম্। নিবিষ্ট তস্য শিখরে লঙ্ক রাবণপালিত ॥ দশযোজনৰিস্তীর্ণ ত্রিংশযোজনমায়তা । সা পুরী গোপুরেরচ্চৈঃ পাণ্ডুরাঘুদসন্নিভৈঃ ॥ সকাঞ্চনেন শালেন রাজতেন চ শোভতে । প্রাসাদৈশ্চ বিমানৈশ্চ লম্বা পরমভূষিতা।” (লঙ্কাকাও ৩৯ সর্গ। ) যাহার মহোচ্চ শিখর আকাশ স্পর্শ করিয়াছে, সেই ত্রিকূট পৰ্ব্বত পুষ্পসমাচ্ছন্ন হওয়ায় সুবর্ণময় বলিয়া বোধ হইয়া থাকে সেই গিরি শতযোজন বিস্তীর্ণ বিমল চারুদর্শন, তাহারই শিখে রাবণপালিতা লঙ্কাপুরী । সেই লঙ্কাপুর দশযোজন ৰিস্তী এবং বিংশতিযোজন আয়ত। সেই নগরী পাণ্ডুরবর্ণ মেঘম! সুবর্ণ ও রজত প্রাসাদ এবং বিমানসমূহে বিভূষিত । রামায়ণের মতে লঙ্কায় নিম্নলিখিত উদ্ভিদ জন্মে— “চম্পকাশোকবকুলশালতালসমাকুল । তমালপনসচ্ছল্লা নাগমালা-সমাবৃত ॥ হিস্তালৈরঞ্জনৈনাপৈঃ সপ্তপণৈ: সুপুম্পিতৈঃ। তিলকৈ কণিকায়ৈশ্চ পাটলৈশ্চ সমস্তুতঃ ॥” ( লঙ্কাকাও ৩৯ সর্গ ( ) চম্পক, অশোক, বকুল, শাল, তাল, তমাল, পনস, নাগ কেশর, হিন্তাল, অর্জুন, কদম্ব, সপ্তপর্ণ, তিলক, কণিকার পাটল । ভাস্করাচাৰ্য্য লিখিয়াছেন, “লঙ্কাপুরেহকস্য যদোদয়ঃ স্তাৎ তদা দিনাৰ্দ্ধং যমকোটপুর্য্যাম্। অধস্তদা সিদ্ধপুরেহস্তকালঃ স্তাদ্রোমকে রাত্রিদলং তদৈব ॥ যথোজ্জয়িন্তাঃ কুচতুর্থভাগে প্রাচ্যাং দিশি স্তা যমকোটরেব। ততশ্চ পশ্চাল্প ভবেদবী লৱৈব তষ্ঠাঃ ককুভি প্রতীচ্যাম।” গোলাধ্যায় ৩।৪৪-৪৬ } যখন লঙ্কায় সুৰ্য্যোদয় হয়, তখন ( তাহার নব্বই অং পূৰ্ব্বে) মবোটিতে মধ্যাহ্ন, সিন্ধপুরে হুর্য্যোপ্ত এবং রোমকপত্তনে দ্বিপ্রহর রাত্রিকাল। যমকোটি উজ্জয়িনীর ঠিক পূৰ্ব্বে নব্বই অক্ষাংশ দূরে অবস্থিত, আবার লঙ্ক যমকোটির ঠিক পশ্চিমে উজ্জয়িনী পশ্চিমে নয়। স্বলপুরাশের কুরিকা-খণ্ডের মতে লম্বাদেশে ৩৫. গ্রাম আছে ।