পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনজার [ ه ه& ] বনদ এবং সম্রাটু আরঙ্গজেবের সময়ে রণস্তম্ভগড় হইতে দক্ষিণাত্যে | আসিয়া প্রবাসী হয়। ইহাদের মধ্যেও ১১টা গোত্র প্রচলিত আছে । ইহারা সকলেই কৃষিজীবী। মুকেরী বনজারগণ বলে যে, মক্কায় তাহাদের এক নায়কের তাও ( শিবির ) ছিল । তথা হইতে ঐ বংশ ঝাঝর নগরে আসিয়া বাস করিলে তাহারা সাধুলে মক্কাই বা মুকেরী নামে পরিচিত হয় । এই কথা সমর্থনের জন্ত তাহারা অত্যন্ধুত উপাখ্যানের কল্পনা করিয়াছে। সে যাহাই হউক, তাহাদের কুলগত নামে হিন্দু ও মুসলমানের সংমিশ্রণ দেখিয়া মনে হয় যে, তাহারা উক্ত উভয় জাতির সংমিশ্রণে গঠিত। তাহাদের মধ্যে নিম্নোক্ত বংশাখ্যা প্রচলিত দেখা যায়, যথা—অথবান, মোগল, মোখর, চৌহান, সিম্লী, চৌহান, ছোট-চৌহান, পঞ্চতকিয় চৌহান, তান্হর, কাঠেরিয়া, পাঠান, তরীন পাঠান, ঘোড়ী, ঘোড়াবাল, বঙ্গারোয়, কাষ্টিয়া ও বহুলীম। বহুরূপ বনজারগণ সাধারণতঃ হিন্দু। ইহাদের মধ্যে মুসলমানও আছে। মুসলমান শ্রেণীর ছায় বনজার হিন্দুগণ গৃহস্থশ্রমাচারী নহে। ইহাদের মধ্যে রাঠোর, চৌহান, পণবার, তোমর ও ভূৰ্ত্তিয়া নামে কয়ট বংশবিভাগ দেখা যায়। ঐ সকল বংশের মধ্যে আবার গোত্রবিভাগ নির্ণীত হইয়াছে। রাঠোর বংশের মধ্যে মুছারী, বাহুকী, মুর্হাবৎ ও পণোত নামে চারিট থাক আছে, তন্মধ্যে মুছারীতে ৫২ট, বাহুকীতে ২৭ট, মুর্ষাবতে ৫৬টী এবং পণোতে ২৩টা গোত্র প্রচলিত আছে। চৌহানদ্বিগের মধ্যে ৪২ টা গোত্র বিদ্যমান, ইহার মৈনপুরী হইতে এদেশে আসিয়াছে। ভূৰ্ত্তিয়াগণ গোঁড়ব্রাহ্মণের সস্তান। চিতোর রাজধানীতে ইহাদের বাস ছিল। সেখান হইতে ইহারা দাক্ষিণাত্যবাসী হইয়াছে । ইহাদের মধ্যে ৫২ট গোত্র প্রচলিত । পণকারগণ দিল্লীবাসী ছিলেন। তাহদের মধ্যে ২০ট গোত্র আছে। এই বহুরূপ বনজারগণ অন্তান্ত জাতির দ্যায় সগোত্রে বিবাহ দেয় না । নাট জাতির কম্ভাগ্রহণ করে বটে, কিন্তু আপনাদের কস্তা তাহাদিগকে সমর্পণ করে না । না এক বা নায়ক বনজারগণ এই জাতিভূক্ত হইলেও সামাজিকতায় সাধারণ শ্ৰেণী অপেক্ষ অনেক উন্নত। ইহাদের মধ্যে রাজপুত্রেই i ংখ্যা অধিক । গোরখপুর বিভাগের নfএকগণ আপনাদিগকে সAঢ়্য ব্রাহ্মণ বলিয়া পরিচিত করে এবং পিলিভিতে তাঁহাদের o. ছিল বলিয়া জানায় । ইহারা সম্পূর্ণরূপে হিন্দু। সমাজে ইহাদের বহু বিবাহ প্রচলিত অাছে বটে, কিন্তু বিধবাবিবাহ প্রচলিত নাই। যদি কোম অবিবাহিত বালিকা অপর পুরুষের সহিত অবৈধ প্রণয়ে আসক্ত হয়, তাহা হইলে তাহার পিতৃাকে একটা জাতীয় ভোজ দিতে হয় এবং কস্তাকে সত্য নারায়ণের কথা শুনাইয় পবিত্র করিয়া লওয়া হয়। ৰিবাহের সময় বরের পিতার হস্তে কস্তার পিতার “তিলকদান” স্বরূপ কিছু টাকা দিবার বিধি আছে, পঞ্চারতের বিচারে সকলেই ব্যভিচারিণী পত্নীকে ত্যাগ করিতে পারে। ইহাদের মধ্যে বিধবা বিবাহ নাই বলিয়া ঐ রমণী আর স্বজাতি-সমাজে পরিশীত হইতে পারে না। জন্ম, মৃত্যু ও বিবাহ সংস্কার' তাহার যথাবিধি সম্পন্ন করিয়া থাকে। শবদেহ দাহ ও অশৌচাত্ত্বে শ্ৰাদ্ধ নিম্পন্ন করে। সৰ্ব্বরিয়া ব্রাহ্মণের সকল কাৰ্য্যে ইহানের যাজকতা করিয়া থাকে । বিবাহকালে ইহার উপযুপিরি ৪টা করিয়া সাত থাক ঘড় সাজার এবং তাছার মধ্যস্থলে ফুট মুঘল ও একটা জলের কলস রাখিয়া দেয়। ইহার সন্মুখে মৃত্তিকালিপ্ত স্থানে চৌকা কাটিয়া পুরোহিত হোম করে । তদনন্তর সেই নবদম্পতী গাইট ছড়া বাধিয়া সেই মুঘলের চারিদিকে সাতপাক ঘুরে। পরে তাহার একস্থানে আসিয়া বসিলে কস্তার পিতা বরের পা পূজা করে এবং কন্যা সম্প্রদানের যৌতুক স্বরূপ ২ট বা ৪ট টাকা দেয় । ইহাই বড় ঘরের বিবাহ। নিম্ন শ্রেণীর মধ্যে কস্তাকে লরের গৃহে লইয়া ধরেীনা’ মতে বিবাহ দেওয়া হয়। তদনন্তর স্বজাতিভোজ হইয়া থাকে। বনজীর (পুং ) বনোদ্ভবো জীরঃ । বনজাত জীরক, কটুজীরক, চলিত বনজীরে। ইহার পর্য্যায়—বৃহৎপালী, স্বপ্নপত্র, অরণ্যজীর, কণ গুণ-কটু, শীতল ও ব্রণনাশক। পাকে— কটু, কৃমিয়, দীপন, জীর্ণজরহর ও রুচ্য। বনজীবিন (পুং ) কাঠুরিয়া। যাহারা বন হইতে কাষ্ঠসংগ্ৰহ করিয়া বিক্রয় করে । বনতণ্ডুলী ( স্ত্রী) তণ্ডুলীয়ভেদ । gonoides ) ২ বনতণ্ডুলীয় শাক । বনতরু (পুং ) অর্জুনৰ্বক্ষ । ( বৈপ্তকনি”) বনতিক্ত (পুং স্ত্রী) বনেষু বনোন্তবেযু মধ্যে তিক্ত:, তিক্ত বা । হরীতক্ষী । বনতিক্ত ( স্ত্রী) শ্বেতবুহণ বা গ্রীষ্মা নাম লতাভেদ । বনতিক্তিক (স্ত্রী) বনতিক্তা-কন্‌ টাপি অত ইত্বং । ১ পাঠা, চলিত আকনাদি । [ ইহার গুণাদির বিষয় পাঠাশন্ধে দ্রষ্টব্য। ] ২ উৎপলশাক । ইহার গুণ তিক্ত ও শীতল এবং কটু ও কফপিত্তয় । ( চরকস্থ ২৩ অঃ ). বনত্রপুষক] (পুং) , আরণ্যত্ৰপুৰ। ২ ইজৰায়ণী। বৈষ্ককনি) বনদ (ত্রি) ১ প্রশংসাকারী। ২ স্তোত বা পূজক। বনদঃ বনন্তঃ সম্ভক্তার যদ্বা বলদোৎবনদঃ ভূশং শব্দয়স্তঃ স্তোতার: ' ( ঋক্ ২।৪।৪ সায়ণ) (Amblogina poly