নোয়াখালি জাকোণ করবেন। উভয়দলে অগ্রসর হইয়া প্রথমে লক্ষ্মীপুর ও লুরা অধিকার করিলে পর মোগলসৈন্ত আসিয়া তাহাদিগকে পরাজিত করে এবং চট্টগ্রাম পর্যন্ত তাড়াইয়া লইয়া যায়। গঙ্গালিস যখন শুনিল যে তাহার মিত্র আরাকানরাজ পরাজিত হষ্টয়া পলায়ন করিয়াছেন, তখন সে বিশ্বাসঘাতকতা সহকারে রাজার অধীনস্থ জাহাজের অধ্যক্ষগণকে হত্যা করিয়া ঐ সকল জাহাজ অধিকার করিলেন এবং আরাকান-রাজ্য অধিকার করিবার জন্ত তৎকুলে উপনীত হইলেন। গঙ্গালিস্ আরাকান রাজধানী-আক্রমণে বিফল মনোরথ ছষ্টয় প্রত্যাবৃত্ত হইলেন এবং গোয়ার পর্তুগীজ শাসনকর্তার নিকট পরাজয়-সংবাদ জ্ঞাপন করিলেন। তদনুসারে ডন ফ্রান্সিস ডি মেনেসিসের তত্ত্বাবধানে গোয় হইতে সেনাদল আলিয়। আরাকানে উপস্থিত হইল, গঙ্গালিস্ও তাহার সহিত মিলিত হইলেন । ১৬১৫ খৃষ্টাব্দে নবেম্বর মাসে মিলিত পৰ্বগীজসৈন্ত সগদিগকে আক্রমণ করিল। এই যুদ্ধে পর্তুগীজসেনাপতি নিহত হন এবং গঙ্গালিস্ পরাজিত সেনাদল লইয়। রণে ভঙ্গ দিল । পরবৎসরে আরাকানরাজ সনদ্বীপ আক্রমণ করিলেন ও পর্তুগীজ দস্লাদিগকে তাড়াইয়। আপনি এইস্থান অধিকার করিয়া লইলেন। ভ্রমণকারী পারকাস ( সম্ভবতঃ ১৬২০ খৃষ্টাব্দে) লিখিয়াছেন, সমূদ্বীপে দুইশতবর্ষের পুরাতন একটা মসজিদ আছে, এতদ্ব্যতীত বিছর।এামে ও জেলার উত্তরাংশে আরও কতকগুলি ইহ অপেক্ষাও প্রাচীন মসজিদ দেখা যায়। এখানকার মুসলমান অধিবাসীর মেঘনা নদীর মোহানীয় দমাবৃত্তি দ্বারা জীবিকানিৰ্বাহ কল্পিত। সমূদ্বীপের দিলাই নামক রাজা দমাবৃত্তির সহায়তার জন্য অনেক সৈন্ত রাখিয়াছিলেন। এই রাজা অবশেষে বাঙ্গালীয় নবাব কর্তৃক ধৃত হইয়া মুর্শিদাবাদের লৌহকারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। এখানেই তাছার জীবলীল। শেষ हहैग्नीश्टि ।।' ফরাণী-পর্যাটক বাৰ্ণিয়ারের লিখিত বর্ণনা হইতে জানিতে পারা যায় যে, মোগল কর্তৃক পৰ্ব জদিগের পরাজয়ের পর, আরাকানরাজ তাহাদিগকে ও অপরাপর ফিরিঙ্গীদিগকে স্বরাজো জাপ্রয় দান করেন। আরাকানরায় ইহাদিগের সাহায্যে মোগল * श्रांउकभ१ झहेरठ 5प्लेऽभि रुन्धद्र ब्रक कब्रिाउन । भ* s পৰ্ব গীজ মিশ্রিত দম্যসম্প্রদায়ের লুণ্ঠন অত্যাচারে উত্তাক্ত হইয়া মোগল-সম্রাট অয়ঙ্গজেব বাঙ্গালার শাসনকৰ্ত্ত সায়েন্ত খাকে মগ-অত্যাচার-দমনের জঙ্ক আদেশ করেন। এতদুদেপ্ত সাধনের জন্ম ১৬৬৫ খৃষ্টাঙ্গে সায়েস্ক খ ওলন্দাল্পদিগের সাহায্য প্রার্থনা করিয়া বটেভিয় রাজধানীতে দূত পাঠাইলেন। তিনি [ ses ] নোয়াখালি Fo -_ - জানিতেন যে, স্থলপথে এরূপ বৃহৎ বৃহৎ নদনদী অতিক্রমপূর্বক সৈন্যদল লইয়া শত্রুদিগকে আক্রমণ কয় নিতান্ত দুষ্কর, সুতরাং জলপথে যুদ্ধ করাই শ্ৰেয়ঃ বিবেচনায় তিনি প্রস্তুত হইলেন। বটেভিয়া হইতে ওলন্দাজসৈন্ত আসিবার পূর্মেই তিনি দপ্লাদিগকে অরঙ্গজেবের আরাকান আক্রমণের ভয় দেখাইলেম এবং যদি তাহার বগুত স্বীকার করে, তাহা হইলে সম্রাটু তাহাদিগকে প্রার্থনামত জমি দিতে প্রতিশ্রুত আছেন এইরূপ লোভ দেখাইয়। কৌশলে তাহাদিগকে শাস্ত করিয়া আপনার দলভুক্ত করিলেন। ভুলুয়ার থানাদার ফরদখাও তাহার নিকট কএকজন পর্তুগীজ পাঠাইয় দেন। ইহার পর সায়েস্তা খুঁ হঠাৎ একদিন অন্তান্য পর্তুগীজদিগকে আক্রমণ করিয়া বন্দী করিলেন ও নৌকায় তুলিয়। ঢাকা অতিমুখে চলিয়া আসিলেন। এখানে আসিয়াই তিনি তাহাদিগকে মিষ্ট বাক্যে ও অর্থ দানে বশীভূত করিয়া ঐ সকল লোক-সমভিবাহারে সন্দ্বীপ অধিকার করিলেন। পরে সেই বাহিনী লইয়। ১৬৬৬ খৃষ্টাব্দে চট্টগ্রাম অভিমুখে অগ্রসর হইলেন। ইতিমধ্যে ওলনাজগণ মানোয়ারী জাহাজ লইয়া বাঙ্গালায় উপস্থিত হইল। সায়েস্ত। র্য আপনার কাৰ্য্যোদ্ধার করিয়াছেন ভাবিয়া ওলন্দাল্পদিগকে স্মিত মুখে বিদায় দিলেন। মিঃ বাৰ্ণিয়ার ওলন্দাজ রণপোতের অবস্থান ও তাহার অধ্যক্ষগণকে দেখিয়াছিলেন। নোয়াখালি মুবনোবস্তে রাখিবার জন্তু সায়েস্তা খাঁ ১৬৬৫ খৃষ্টাব্দে সৈয়দ আফগানকে ৫• • সৈন্ত দিয়া নগররক্ষার্থ নিযুক্ত করিলেন। সেই সঙ্গেই সংগ্রামগড়ে (আলমৃগীর নগর ) দুর্গ স্থাপন করিয়৷ হুগলীর ফৌজদার মহম্মদ সরিফকে সৈন্তসহ তথায় প্রেরণ করিলেন। এই সময়ে সমৃদ্বীপে দিলাবর নামে জনৈক জমিদার ছিলেন । তিনি বাহিরে সম্রাটের পক্ষাবলম্বী হইলেও অস্তরে গজাতির বন্ধু ছিলেন। তিনি মোগলের সাহায্য করিতে অস্বীকৃত হওয়ার আবুল হুসেন কর্তৃক আক্রান্ত ও পরাজিত হন। অতঃপর বন মধ্যে পলাইয়া পুনরায় সৈন্তসংগ্রহ করেন এবং সেই সেনাবল লইয়া আবার মোগলসৈন্সের বিরুদ্ধে অগ্রসর হইলে, ধৃত ও অবশেষে জমিদার মুনেীবীরের তত্ত্বাবধানে সবাৰ-লয়কারে প্রেরিত হন।* ফর ধ। নোয়াখালি হইতে এবং নবাবপুত্ৰ বুজুর উমেৰু ধা সসৈন্তে ধাত্রা করিয়া ১৬৬৬ খৃষ্টাব্দে ২রা জামুয়ারী চট্টগ্রামে উপনীত হন। ১৬ই জানুয়ারী মোগললৈক্ষে জয়লাত করিলে
- Calcutta Review, July. 1871.
