পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিকোবর ( ফারহিট্ট ) তাপে উত্তপ্ত করিলে ইহার আকর্ষণস্থতিশক্তি হ্রাস হইয়া যায়। সাধারণ জলবায়ুতে ইহার কোন ক্ষতি হয় न। फेख्ख बांयूड हेश अब्रिज्राहेछ् रुद्र। নিকেল ধাতু তাম্রের সহিত মিশাইলে জৰ্ম্মণ-রৌপো (German silver) offs হয়। এলুমিনাম্ নামক ধাতুর সহিত ইহার ২ শতাংশ মিশাইলে উক্ত ধাতুকে শক্ত করে এবং উহার গুরুত্ব স্বল্প মাত্রায় বন্ধিত করে। রাজপুতানা, ভাঙ্গড়, কান্দাহার ও সিংহলের সাফ্রাগামের নিকট অল্পবিস্তর মিশ্রিতনিকেল পাওয়া যায়। এখন নিকেলের খনির অল্পতা হেতু এই ধাতু মূল্য হইয়াছে। নিকোচক (পুং ) নিকোচতি শস্বায়তে নি-কুচ বুন। অঙ্কোটg" (Alangium hexapetalum) est *s* (FR cortą grz ক্লীবলিঙ্গও দেখিতে পাওয়া যায়। “বাতামাক্ষোড়াভিমুকং স্বকুলকনিকোচকম্। উরমাণং প্রিয়ালঞ্চ বৃংহণং গুরুশীতলম্ ॥"(বাডট স্বত্রস্থা” ৬ অ') নিকোচন ( ক্লী ) সন্ধুচন । . “ব্যবহারং পশ্রেৎ ন ত্বহমনেনক্ষি নিকোচনেনোপহসিতঃ ।” . (মমু ৮৪৫ কুল্লক ) নিকোঠক (পুং ) নিকোচক পুষোদরাদিত্বাং সাধু । নিকোচক। নিকোথক (পুং ) নি-কুপ-বুন। একজন বৈদিকাচার্য। ইহার উপাধি ভায়জাত । নিকোবর, ভারত মহাসাগরের একটা দ্বীপ। আন্দামানদ্বীপের দক্ষিণ। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে ৮টা বড় ও ১২ট ক্ষুদ্র দ্বীপ আছে। তন্মধ্যে নিকোবর দ্বীপটী দৈর্ঘ্যে ৩০ মাইল ও প্রস্থে ১২ হইতে ১৫ মাইল । এই সমস্ত দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে ননকোরি বন্দরে ভারতগবমেণ্ট জাহাজ বাধিবার আড় স্থাপন করিয়াছেন। নিকোবর দ্বীপ সাধারণতঃ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাছাড়ে পরিপূর্ণ। এখানে অপৰ্য্যাপ্ত নারিকেলবৃক্ষ দৃষ্ট হয়। এখানকার অরণ্যে একপ্রকার বৃক্ষ পাওয়া যায়, তাছার গুড়ি জাহাজ ও গৃহাদি নিৰ্ম্মাণের উপযোগী । নানা প্রকার ফল এবং নানাজাতীয় পক্ষী এই সমস্ত দ্বীপপুঞ্জে দেখা যায় । মৎস্ত যথেষ্ট পরিমাণে জন্মিয় থাকে । নিকোবরবাসিদের সহিত, মলয়বাসিদিগের অনেকটা আকৃতিগত সোসাদৃশু থাকিলেও নিকোবরবাসিদিগের চক্ষুর আকার দেখিলে, ইহাদিগকে সম্পূর্ণ ভিন্ন জাতি বলিয়া অস্থমিত হয়। ইহাদের বর্ণ তাম্রবর্ণের দ্যায় ও শরীরের গঠনপ্রণালী অতি সুন্দর ; ইহার অধিক লম্বী ছয় না, বরং খৰ্ব্বাকৃতি হইয়া থাকে। ইহাদের চক্ষু চীনদিগের চক্ষুর স্থায়, মাসিক ক্ষুদ্র ও X ২৩ ( bసి ] নিকোবর চেপ্টা, মুখ অত্যন্ত বড়, ওষ্ঠ পুরু, কৰ্ণ দীর্ঘ, চুল কাল ও খাড়া এবং সামান্ত দাড়ি আছে। g নিকোবরবাসিরা যে সমস্ত গ্রামে বাস করে,• উহা সমুদ্রতীরে অবস্থিত এবং প্রত্যেক গ্রামে ১৫ হইতে ২০ * খানি মাত্র গৃহ আছে। প্রত্যেক বাটীতে ২০ জন বা ততোধিক লোক বাস করে। মুত্তিকার উপর আন্দাজ ১০ ফিটু উচ্চ খুটি পুতিয়া, তাহার উপরে নিকোবরবাসির গৃহ প্রস্তুত করে। এই সমস্ত গৃহের আকার গোল এবং ইছাতে আদেী জানলা থাকে না। উক্ত গৃহের তলায় এক প্রকার দ্বার থাকে। মই যোগে ঐ দ্বার দিয়া তাহারা গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করে। নিকোবরবাসির সাধারণতঃ মৎস্তজীবী । শুকর, গৃহপালিত পশুপক্ষী, কচ্ছপ, মৎস্ত, নারিকেল, জাম, নানা প্রকার ফল এবং মেলোরি নামক বৃক্ষের ফলজ রটাই ইহাদের প্রধান খাদ্য । ইহারা অত্যন্ত অলস, ভীরু, বিশ্বাসঘাতক এবং সুরাপ্রিয়। পূৰ্ব্বে ইহারা অনেক সময় দমাবৃত্তি দ্বারা জীবিকানিৰ্ব্বাহ করিত, কিন্তু এই দ্বীপ ইংরাজ গবর্মেন্টের অধিকারভুক্ত হওয়া পর্যন্ত এখানকার লোক শাস্তস্বভাব হইয়াছে। নিকটবর্তী দ্বীপবাসিরা পরস্পরের কথাবার্তা বুঝে না । ইহার কুসংস্কারাচ্ছন্ন, ভূত বিশ্বাস করে ও শবের গোর দিবার পূৰ্ব্বে মৃতদেহ কএক দিন পল্লি মধ্যে রাখিয়া দেয়, পরে তাহার খাদ্যাদির বাসন সমেত পুতিয়া ফেলে। ইহাদের কোন লিখিত ভাষা নাই। অতি প্রাচীনকালে এখানে লিখিত ভাষার পরিবর্তে স্বর্যা, চন্দ্র, থাল, ঘটী, মচুয্য প্রকৃতির চিত্রদ্বারা অক্ষরের কার্য্য সাধিত হইত। ইহার এক সময়ে বহু বিবাহকে ঘৃণা করে। স্ত্রীপরিত্যাগ প্রথা এখানে প্রচলিত দেখা যায় । ইহারা সকলেই স্ব স্ব প্রধান । যদিও ২১ জন লোক বয়োজ্যেষ্ঠত হেতু অনেকের মাননীয় হয়, কিন্তু কাকারও উপর প্রভুত্ব করিতে পারে না। এখানে কৃষিকার্য্যের আদে চর্চা নাই। তবে খাদোর জষ্ঠ কলাগাছ, বাতাপিনেবু (sweet line), জাম ও অন্যান্য কতক গুলি বৃক্ষ সামান্ত পরিমাণে রোপণ করিতে দেখা যায়। ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে ভারতগবর্মেন্ট নিকোবর দ্বীপকে অধিকারভূক্ত করিয়া আন্দামানের অধ্যক্ষের (Superintendent) শাসনাধীন করেন । ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে এই দ্বীপ আন্দামানের চিফ কমিশনরের অধীন হয় এবং ১৮৮১ খৃষ্টাব্দে সমস্ত নিকোবরদ্বীপপুঞ্জ ইংরাজ গবর্মেন্টের উপনিবেশ মধ্যে পরিগণিত হয় । এথানকার জলবায়ু অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ম্যালেরিয়া জ্বর এই দ্বীপে অতীব প্রবল। ঋতুর মধ্যে বর্ষাই প্রধান। গ্রেট নিকোবরের বন মধ্যে এক অসভ্যজাতি বাস করে। অঞ্চাগু