পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-Ե- বিশ্ব-পরিচয় বৃহস্পতির নয় নয়টি উপগ্রহের গ্রহণের সময় । গ্রহণটt হয় কী ক’রে ভেবে দেখো । কোনো এক যোগাযোগে যখন সূর্য থাকে পিছনে, আর গ্রহ থাকে আলো আড়াল ক’রে সূর্যের সামনে, তার তারো সামনে থাকে গ্রহের ছায়ায় উপগ্রহ, তখনি সূর্যালোক পেতে বাধা পেয়ে উপগ্রহে লাগে গ্রহণ। কিন্তু মধ্যবর্তী গ্রহের নিজেরই যদি অালো থাকত, তাহলে সেই আলো পড়ত উপগ্রহে, গ্রহণ হোতেই পারত না । অামাদের চাদের গ্রহণেও সেই একই কথা । চাদের কাছ থেকে সূর্যকে যখন সে আড়াল করে, তখন জ্যোতিহীন পৃথিবী চাদকে ছায়াই দিতে পারে, নিজের থেকে আলে। দিতে পারে না । বৃহস্পতিগ্রহের পরের পংক্তিতে আসে শনিগ্ৰহ । এ গ্রহ আছে সূর্য থেকে ৮৮ কোটি ৬০ লক্ষ মাইল দূরে । আর ২৯॥০ বছরে এক পাক তার সূর্য প্রদক্ষিণ । শনির বেগ বৃহস্পতির চেয়েও কম—এক সেকেণ্ডে ছ মাইল মাত্র । বৃহস্পতি ছাড়া সৌরজগতের অন্ত গ্রহের চেয়ে এর আকার অনেক বড়ে ; এর ব্যাস পৃথিবীর প্রায় ৯ গুণ। পৃথিবীর ব্যাসের চেয়ে নয়গুণ বড়ো হয়েও এক পাক ঘুর খেতে ওর, লাগে পৃথিবীর চেয়ে অধেকেরও কম সময়। এত জোরে ঘুরছে ব’লে সেই বেগের ঠেলায় ওর আকার হয়েছে কিছু চ্যাপটা ধরণের । এত বড়ো এর আয়তন অথচ ওজন পৃথিবীর ৯৫ গুণ মাত্র বেশি । এত হালকা ব’লে এই প্রকাণ্ড আয়তন সত্ত্বেও টানবার শক্তি পৃথিবীর চেয়ে এর বেশি নয়। একটি