পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ 3 বিশ্ব-পরিচয় প্রশ্নের ভালো জবাব পাওয়া গেল না । কেন্দ্রের বাইরে এদের ঝগড়া মেটে না, কেন্দ্রের ভিতরটাতে এদের মৈত্রী অটুট, এ একটা বিষম সমস্যা । এই রহস্যভেদের উপযোগী ক’রে যন্ত্রশক্তির বল বৃদ্ধি করা হোলো। পরমাণুর কেন্দ্রগত প্রোটন-লক্ষ্যের বিরুদ্ধে পরীক্ষকের প্রোটন সৈন্তের দল লাগিয়ে দিলেন ; যত জোরের বৈদ্যুত তাদের ধাক্কা দিলে তার বেগ সেকেণ্ডে ৬৭২০ মাইল । তবু কেন্দ্রস্থিত প্রোটন আপন প্রোটনধম রক্ষা করলে, আক্রমণকারী প্রোটনদের ছিটকিয়ে ফেললে । বৈদ্যুত তাড়নার জোর বাড়িয়ে দেওয়া হোলো । বিজ্ঞানী লাগালেন ধাক্কা ৭৭০০ মাইলের বেগে, শিকারটিকে হার মানাতে পারলেন না । অবশেষে ৮২ ০০ মাইলের তাড়া খেয়ে বিরুদ্ধশক্তি নরম হবার লক্ষণ দেখালে । ছিটকোনো-শক্তির বেড়া ডিঙিয়ে আক্রমণ শক্তি পৌছল কেন্দ্রফুর্গের মধ্যে । দেখা গেল একটা প্রোটন অন্য প্রোটনের যত কাছে গিয়ে পৌছলে তাদের ঠেলাঠেলি যায় চুকে সে হচ্ছে এক ইঞ্চির বহু কোটি ভাগ ঘেঁষাৰ্ঘেষিতে । তাহলে ধরে নিতে হবে ঐ নৈকট্যের মধ্যে প্রোটনদের পরস্পর ঠেলে ফেলার শক্তি যত তার চেয়ে প্রভূত বড়ো একটা শক্তি আছে, টেনে রাখবার শক্তি। ঐ শক্তি পরমাণু মহলে প্রোটনকেও যেমন টানে নু্যট্রনকেও তেমনি টানে, অর্থাৎ বৈদ্যুতের চার্জ যার অাছে আর যার নেই উভয়ের পরেই তার সমান প্রভাব । পরমাণু-কেন্দ্রবাসী এই অতি প্রবল আকর্ষণ শক্তি সমস্ত বিশ্বকে রেখেছে বেঁধে । পরমাণুর