পাতা:বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়
১১

পক্ষে সহজ হয় না। সমস্ত দেশের কলাপ্রতিভাও আপন শ্রদ্ধার অর্ঘ্য এখানে পূর্ণ শক্তিতে নিবেদন করেছিল। সেই উপলক্ষ্যে দেশ আপন শিল্পরচনার উৎকর্ষ এই বিদ্যামন্দিরের ভিত্তিতে ভিত্তিতে মিলিত করেচে, ঘোষণা করেচে, ভারতের কলাবিদ্যা ভারতের বিশ্ববিদ্যাকে প্রণাম করেচে।

 একটি কথা এই প্রসঙ্গে মনে রাখা চাই, তখনকার রাজাদের প্রাসাদভবন বা ভোগের স্থান কোন বিশেষ সমারোহে ইতিহাসের স্মৃতিকে অধিকার-চেষ্টা করেছিল তার প্রমাণ পাইনে। এই চেষ্টা যে নিন্দনীয় তা বলিনে, কেননা সাধারণত দেশ আপন ঐশ্বর্য্যগৌরব প্রকাশ করবার উপলক্ষ্য রচনা করে আপন নৃপতিকে বেষ্টন করে, সমস্ত প্রজার আত্মসম্মান সেইখানে কলানৈপুণ্যে শোভাপ্রাচুর্য্যে সমুজ্জ্বল হয়ে ওঠে। যে কারণেই হোক অতীত ভারতবর্ষের সেই চেষ্টাকে আমরা আজ দেখতে পাইনে। হয়তো রাজাসনের ধ্রুবত্ব ছিল না বলেই সেখানে ক্রমাগতই ধ্বংসধূমকেতুর সম্মার্জ্জনী কাজ করেচে। কিন্তু নালন্দা বিক্রমশীলা প্রভৃতি স্থানে স্মৃতিরক্ষা-চেষ্টার বিরাম ছিল না। তার প্রতি দেশের ভক্তি দেশের বেদনা যে কত প্রবল ছিল এই তার একটি প্রমাণ।

 আপন সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যার প্রতি সর্ব্বজনের যে উদার