পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব ব্ৰাহ্মণ্য, বৌদ্ধ ও জৈন ধৰ্ম্ম 8S পরশুরামের পূর্বে ব্ৰাহ্মণ বড় কি ক্ষত্ৰিয় বড় সমাজে একবার এই প্রশ্ন উঠিয়াছিল । পালি “অম্বঠসুত্ত” নামক পুস্তকে দেখা যায়, বুদ্ধদেব ক্ষত্ৰিয়াদিগকেই শ্ৰেষ্ঠ বালিয়া স্বীকার করিয়াছেন। কিন্তু তঁহার বহু পূর্বেই একবিংশবার যুদ্ধ করিয়া পরশুরাম ক্ষত্ৰিয়কুল নিৰ্ম্মল করিয়াছিলেন ; কাৰ্ত্তবীৰ্য্যাৰ্জন ও পরশুরাম কর্তৃক নিহত হওয়ার পর মহানন্দ প্ৰভৃতি দ্বারা ক্ৰমান্বয়ে নিরস্ত হইয়া অবশিষ্ট ক্ষত্ৰিয়গণের মধ্যে অনেকে কিরূপ দীনভাবে ব্ৰাহ্মণের শরণাপন্ন হইয়াছিলেন, তাহার ভুরি ভুরি প্রমাণ মহাভারতে পাওয়া যাইতেছে। ধীরে ধীরে ব্ৰাহ্মণ্য-প্রভাব ও ব্রাহ্মণ্য-জাতিভেদের কড়াকড়ি ভারতে বদ্ধমূল হইতে লাগিল । এই ব্ৰাহ্মণ-শিক্ষাদীক্ষার ভিত্তিভূমি মহাভারতে অনুশাসন পর্বের দশম অধ্যায়ে লিখিত হইয়াছে : “হীন জাতিকে উপদেশ দেওয়া কখনই কৰ্ত্তব্য নহে।” “ব্ৰাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয়, বৈশ্য ইহারা পরস্পরের অন্ন ভোজন করিতে পারেন, কিন্তু কুকৰ্ম্মান্বিত শূদ্রের অন্ন কখনই ভোজন করিবেন না” ( ১৩৪ অধ্যায়)। বৈশ্যের অন্ন-সম্বন্ধেও কতকগুলি নিষেধ-বিধি আছে। এ দিকে যে সকল ব্ৰাহ্মণ চিকিৎসক, অস্ত্রজীবী, পুরাধ্যক্ষ, দেবল ও দৈবজ্ঞ তাহাদিগকেও শূদ্রের পর্য্যায়ে ফেলা হইয়াছে। র্যাহ্বারা বেতন লইয়া অধ্যাপনা করেন—সেইরূপ প্ৰক্ষিণেরও অন্ন নিষিদ্ধ হইয়াছে। প্রত্নতত্ত্ববিদগণের মতে মনুস্মৃতি খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে প্ৰাহ্মণ-রাজ পুষ্যামিত্রের সময়ে ফিরিয়া লেখা হইয়াছিল, তখন তাহাতে উহার বহু পরিপর্তন সাপিত হইয়াছিল ; পুষ্যামিত্ৰ মৌৰ্য্যরাজের সেনাপতি ছিলেন, শেষে স্বপ্রভুকে হত্যা করিয়া তাহার সিংহাসন অধিকার করেন। আশ্চৰ্য্যের কথাবিষয়-বিরাগের স্থলে ব্ৰাহ্মণ যে পার্থিব ভোগ-বিলাসের যোগ্য পাত্র, তাহা এই মানব-স্মৃতির নব সংস্করণে প্রচুর পরিমাণে সমর্থিত হইয়াছে। ব্ৰাহ্মণ সেনাপতি হইতে পারেন, রাজা হইতে পারেন, ইত্যাদি ব্যবস্থা স্পষ্টরূপে সংশোধিত মনু-স্মৃতিতে ব্ৰাহ্মণ-রাজার কাৰ্য্য সমর্থন করিতেছে, “সৈনাপত্যং চ রাজ্যং চ দণ্ডনেতৃত্বমেব চ। সৰ্ব্বলোকাধিপত্যং চ বেদশাস্ত্ৰ বিদািৰ্ছতি ।” (মনু, ১০ ০)। সমস্ত পৃথিবীর অধিকার ন্যায়ত: ব্ৰাহ্মণের প্রাপ্য, এ ভাবের কথাও মানব-ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে পাওয়া যায়। সুহ্মবংশের পূর্বে ব্রাহ্মণের অপরাধের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু পরবর্তী স্মৃতি কারগণ ব্ৰাহ্মণের দণ্ড অতিলঘু করিয়া দেন। শূদ্ৰদের উপর শাস্তির ব্যবস্থা এই সময়ে কঠোরতম্য হইয়া দাড়ায়, এতদ্বারা সুহ্মবংশীয় ব্ৰাহ্মণ রাজাদের স্ব জাতিকে বাড়াইবার প্রবল চেষ্টা ও মৌৰ্য্যদিগের প্রতি লোর বিদ্বেষ সুচিত হইতেছে। স্ত্রীলোকদিগের সম্বন্ধে পরবর্তী কালে যে সকল অনুশাসন শাস্ত্রীয় হইয়া দাড়াইয়াছিল, তাহারও সুত্ৰ মহাভারতেই পাই-“পতিই স্ত্রীলোকের পরম দেবতা, পরম বন্ধু ও পরম গতি। অন্য পুরুষের কথা দূরে থাকুক, DDB LYS BB D DBBDBD SDBDBD BDBDDBDB DOSDB পতিব্ৰত্য ধর্শের ফল লাভ করিয়া থাকেন” (১৩৬ অধ্যায়)। এই উক্তির সঙ্গে নারদপঞ্চচূড়া-সংবাদের নানারূপ জঘন্য কথা মিলাইয়া পড়িলে স্ত্রীলোকদিগের હેબન્ન শালীয় কঠোর বিধির কারণ উপলব্ধ হইতে পারে। সম্ভবতঃ সন্ন্যাসের ගfෂ ܘ effefry f5f3 औष्णांप्त ब्र श्रुष. फक्ष, शूर्णी corvo foforo 1 (5fkicro मवष्क पत्र°खाप्र !