পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুপ্ত সাম্রাজ্য, অন্ধ ও শক নৃপতিগণ এবং ধৰ্ম্ম-প্রতিযোগিতা ২০৫ দিগের ত্যাগ অপেক্ষা ক্ষত্ৰিবীৰ্য পুনরায় অধিকতর প্রতিষ্ঠা লাভ করিল। বৌদ্ধ সাম্যপ্রচারে BEEKK DiriBi BB BBDBDS DDS DDSsBDD D ErBYD আসনও ঠাঙ্গাদেব টিলিয়া পড়িয়াছিল। অশোকের সময়েই কিংবা তাহারও পূৰ্ব্ব হইতে শূদ্ৰাধিকারে ব্ৰাহ্মণদিগের্স প্রতি লোকের আস্থা কমিয়া গিয়াছিল, তাহার অনুশাসনেই তিনি তাত জানাইয়াছেন। “লোকগণ এখন ব্ৰাহ্মণ, প্ৰবীণ ও মাতৃপিতৃগণের প্রতি পীতস্পৃহ ।” সঙ্ঘের গুরুই সর্বশ্লেষ্ট বলিয়া স্বীকৃত হওয়াতে পাবিবারিক বন্ধন এই শিক্ষায় নিতান্ত শিথিল হইয়া পণ্ডিয়াছিল। সঙ্গলকে উচ্চতর স্থান দেওয়াতে পারিবারিক সম্পর্কেবা গুরুত্ব কমিয়া গেল। অশোক একদিকে সন্তোনৱ মাহাত্ম্য ও পদগৌরব ঘোষণা করিয়াছেন, তাপরদিকে ব্ৰাহ্মণ ও গুরু জনেৰ প্ৰতি ভক্তি শিক্ষা দিয়াছেন। যে সকল ব্ৰাহ্মণ উচ্চতর ধৰ্ম্ম আশ্রয় করিয়াছিলেন, অশোক তীহাদের কথাই বলিয়াছিলেন। কিন্তু ব্ৰাহ্মণদিগের এই গৌরব স্বীকার করিয়াও তিনি তঁহাদিগকে কোন বিশিষ্ট পদ দেন নাই। চরিত্রভূষিত লোকেরই তিনি আদর করিয়াছেন ও জাতিনির্বিশেষে তঁাহাদিগকেই রাজসভার উচ্চতম পদ প্ৰদান করিয়াছেন । Cব্রাহ্মণ কে ? মহাভারতকার অনেকবার এই প্রশ্নের বিচারে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। (১) নহস যুধিষ্ঠিরকে বলিয়াছিলেন, “যদি শূদ্রে সত্যাদি ব্ৰাহ্মণোচিত গুণ লক্ষিত হয়, তবে শূদ্রও ব্ৰাহ্মণ হইতে পারে।” (২) যুধিষ্ঠির বংশগতি-প্ৰাধান্য অস্বীকার করিয়া বলিয়াছিলেন যৌনপ্ৰবৃত্তি, জন্ম ও মরণ মানবজাতির সাধারণ ধৰ্ম্ম, এই নিমিত্ত সৰ্ব্বদা পুরুষেরা জাতিবিচারে বিমূঢ় হইয়া নারীতে অপত্যোৎপাদনা করিয়া থাকে। অতএব মনুষ্যজাতির মধ্যে সমুদয় বর্ণের এইরূপ শঙ্করত্ববশতঃ ব্ৰাহ্মণত্বাদি জাতি নিতান্ত দুজ্ঞেয় । কিন্তু তত্ত্বদর্শীরা তাহার মধ্যে “যাহারা Duu Lu BBiiSAS TB B B0LDHDBBBBD D DBDDBDDD 0ED DDD করেন । ( বনপৰ্ব্ব-১৭৯ অ্যু: ) (৩) কিন্তু অনুশাসনপর্বে আমি " দেখা যায়, "ব্ৰাহ্মণবংশে জন্মিলেই গুণনির্বিচারে তিনি পূজা পাইবেন” এই বিধান আছে। সমগ্ৰ মহাভারত পাঠ করিলে দৃষ্ট হইবে, এই গ্রন্থে ভারতীয় অতি পুরাকালের সমাজ-নীতির আভাস থাকিলেও ইহা সঙ্কলিত । হওয়ার সময়ে ব্ৰাহ্মণকেই সর্বপ্রধান স্থানে, এমন কি সৰ্ব্বদেবতার উর্ধে স্থাপন করিবার চেষ্টা আছে। এই ব্ৰাহ্মণ্য-গৌরবেব পােবজ ধারণা করিয়া আছেন স্বয়ং ভৃগুপদ-লাহিত-বক্ষ শ্ৰীকৃষক । কিন্তু ঠিক মহাভারতের সময়ে ব্রাহ্মণ তখনও যে সমাজে। পরবর্তী যুগের মত প্রতিষ্ঠিত হন নাই, তাহার একটি প্ৰমাণ এই যে, সভাপর্বে রাজসূযাযজ্ঞের ব্ৰাহ্মণ-ভোজনের ব্যাপারটার উপায় কোন জোরই দেওয়া হয় নাই। যতিদের ভোজনের প্রচুর ব্যবস্থা এবং বামন, অন্ধ, খজদিগকে পরিতোষপূর্বক আহাৰ্য্যদানের কথা আছে, সেখানে ব্রাহ্মণ-ভোজনের উল্লেখ নাই। পরবর্তী যুগে ব্রাহ্মণ-ভোজনই সকল ধৰ্ম্ম ও সামাজিক কাৰ্য্যের সর্বাপেক্ষা গুণকাৰ্য্য হইয়া দাড়াইয়াছিল। মাহ্মণকে পুরোভাগে করিয়া যে হিন্দুধৰ্ম্ম নূতন ভাবে দাড়াইল তাহার অগ্রদূত শ্ৰীকৃষ্ণ। ব্ৰাহ্মণ্যধর্মের পুনরভু্যদয়।