পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাহিরের সঙ্গে আদান-প্ৰদান, অজন্তাগুহা &86 সঙ্গে তাহার সম্বন্ধ ছিল এবং হিন্দুরা জীবন্ত মহামানবের ন্যায় চারিদিক হইতে যাহা কিছু ভাল তাহা আত্মসাৎ করিয়া বড় হইয়া উঠিয়াছিলেন। পরের উৎকৃষ্ট গুণ গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। কিন্তু নিজকে পরানুকরণে হারাইয়া ফেলেন নাই। তাহাঙ্গের অপূর্ব নাটকগুলি সৰ্ব্বদা অভিনীত হইত। কিন্তু অনেক সময় প্রশান্ত প্রাঙ্গনে পট-পরিবর্তন পুৰ্ব্বক দৃশ্যাবলী দেখাইবার অবকাশে যে খানিকটা সময়ের জন্য দর্শকদিগকে অবসর দেওয়া হুইত, সেই সময়ে কোন অংশ-বিশেষ অভিনীত হওয়ার পর আড়াল দেওয়ার উপযোগী ভাল কোন উপায় ছিল না, হয়ত বা সেই অবকাশে গুপ্ত প্ৰকোষ্ঠে যাইয়া অভিনেতারা বেশাদি বদলাইতেন। উক্ত রূপ কোন কারণ বশতঃ গ্ৰীকদিগের নিকট তাহার “ব্যবনিক” পাইয়া থাকিবেন। কথাটির মধ্যেই ঋণ স্বীকার আছে। প্রাচীন নাটকের আধুনিক সংস্করণ যাত্রায়ও “যবনিকার” কোন স্থান নাই, সুতরাং ইহা দেশজ নয। বলিয়াই অনুমিত হয়। এই গুপ্ত যুগে নানাদিকেই ভারতের অপূর্ব উন্নতি সাধিত হইয়াছিল। কলাশিল্পের সমস্ত চিহ্ন লুপ্ত হইয়া গিয়াছে; আৰ্য্যাবৰ্ত্ত ছিল সকল দেশের সেরা, এখানে কতই না। চরম চারুশিল্পের নিদর্শন ছিল, এখন তাহার কিছুই নাই। তবে দক্ষিণের দুৰ্গম গিরিগুহায় অজস্তার যে চিত্রগুলি বিদ্যমান, কোন ভাগ্যে তাহার বিলোপ হয় নাই। এই গুহা চিত্রগুলির মধ্যে ১৬ নং এবং ১৭ নং চিত্ৰ অতুলনীয়,- বিজয়ের সিংহল অভিযান-চিত্রগুলির মধ্যমণি । ইহাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ চিত্রগুলি পঞ্চম শতাব্দীর। ভারতীয় চিত্রকলার এইগুলি শ্রেষ্ঠতম নিদর্শন। খুব সম্ভব। ইহা হইতে যদি শ্ৰেষ্ঠ কিছু কল্পনা করা যায়, তাহ নিশ্চয়ই আৰ্য্যাবর্তে ধ্বংস পাইয়াছে এবং নালন্দা বিহারের শিল্প তাহদের অন্যতম ছিল। বড় বড় বুদ্ধমূৰ্ত্তি, নরনারী অঙ্গের নানারূপ লাস্ত ও মনমোহন ভঙ্গিমা, ফুললিতার বিচিত্র সৌষ্ঠব এ সমস্ত অজন্তু চিত্রগুলির উপর এক স্বপ্নকুহক বিস্তার করিতেছে। চিত্রকরদের সংযম অসাধারণ ছিল, তাহারা এক একটি রেখার যে ইঙ্গিত দিয়াছেন, বহু রেখার জটিলতা উপস্থিত করিয়াও এখনকার চিত্রকর। সেই সাধনার পার্থে দাড়াইতে পরিবেন না। গৃহস্থ রমণী বাহির হইয়াছেন বুদ্ধকে ভিক্ষা দিতে-তাহারা ভিক্ষা দিতে ভুলিয়া গেলেন, সেই মানসসরোবরের শ্রেষ্ঠ কমলের মত প্ৰশান্ত মুখমণ্ডলের দিকে চাহিয়া রমণী ও বালক নিশ্চল ভাবে চাহিয়া রহিলেন, কি জন্য আসিয়াছেন ভুলিয়া গিয়াছেন, শিশুর হীত হইতে ভিক্ষার দ্রব্য পড়িয়া গিয়াছে। মা ও ছেলের দৃষ্টির ইন্দিতে পটে অধ্যাত্ম রাজ্যের এক অপূৰ্ব সম্পদ ফুটিয়া উঠিয়াছে। কোন কোন চিত্রসমালোচক বলিয়া থাকেন রেখা-দ্বাবা দূরত্বের ভাব বুঝান অতি অল্প দিনের আবিষ্কার। অজন্তার চিত্রে পালঙ্কে সমাসীন রাজার পার্শ্ববৰ্ত্তী পরিচারকদের এরূপ ভাবে আঁকা হইয়াছে, যাহাতে চিত্রকর। ষে রেখা সম্পাতে দূরত্বের ভাব বিশেষভাবে বুঝাইতে পারিতেন, তাহার প্রমাণ সুস্পষ্ট রহিয়াছে। •

  • কোন কোন চিত্র-সমালোচক বলেন, অজন্তা এবং নালন্দা প্ৰকৃতি বিহারের টিখাকন পদ্ধতি পূd৩ Briu Srri DiBDBuS DBD gBD DBDB DDBD DB BDBS LMDDB BB rg .srésis tR Af sks Ki K. KR E GSM kors

অজন্তার চিত্ৰ-সম্পদ ।