পাতা:বৃহৎকথা - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহৎকথা। 6: আমার অম্বরূপ খড়াও কুলোঞ্ছল কারিণী বণিতা নাই অতএব তাহ পাইবার উপায় কি? ইহা ভাবিয়া চণ্ডিকা গৃহে গমন করত নিরাহারে দেবীর আরাধনা করিতে লাগিলেন। পরে স্বীয় গাত্র মাংস দ্বারা যথাবিধি আহুতি প্রদান করাতে দেবী প্রসন্নভাবে সাক্ষাৎ আবির্ভূক্ত। হইয়া কহিলেন, হে পুত্র! আমি তোমার প্রতি প্রসন্ন হইয়াছি তুমি এই খড়ল গ্রহণ কর, ইহার প্রভাবে তুমি শক্রদিগের অজেয় হইবে। আর অঙ্গারাসুরের কন্ত ত্ৰৈলোক্য সুন্দরী অঙ্গীরবতীকে শীঘ্ৰ ভাৰ্য্যারূপে লাভ করিবে । তুমি যেহেতু অত্যন্ত প্রচণ্ড কৰ্ম্ম সম্পন্ন করিয়াছ, অতএব অদ্য অবধি তোমার নাম চণ্ডমহাসেন হইবে। ইহা বলিয়া দেবী অন্তহিত হইলে * চণ্ডমহাসেন সঙ্কল্প সিদ্ধি জন্য হৃষ্টচিত্তে গৃহে গমন করিলেন। সেই রাজার নড়াগিরি নামে এক পৈতৃক মত্তহস্তী ছিল, অতএব তিনি খড়া ও মত্তহস্তী এই উভয় রত্ন দ্বার পরাক্রমে ইন্দ্রতুল্য হইলেন। পরে সেই উভয়েৱ প্রভাবে চণ্ডমহাসেন মহাটীতে মৃগয়ায় গমন করত অতিকায় এক বরাহ দেখিয়া বাণে বিদ্ধ করাতে সে গিয়া এক গৰ্ত্ত মধ্যে প্রবেশ করিল এবং রাজাপ্ত রথ হইতে অবর্তীর্ণ হইয়া ধনু গ্রহণ করত তাহার অমুগামী হইলেন। দিল মধ্যে কিয়দূর গিয়া এক মনোহর পুরী দর্শন করুভ বিস্ময়াপন্ন হইয়। তন্মধ্যস্থ এক দীর্থিক তটে উপবেসন করিলেন। তথায় দেখিলেন, শত শত দাসী সমাবৃত্ত