*○○ বৃহৎকথা । থাকাতে তোমাকে দেখিয়া আমার মন• অভ্যন্ত ব্যথাযুক্ত হইতেছে, প্রিয়োপভোগ ব্যতীত কামিনী গণের রূপ যৌবন বৃথা ইত্যাদি অনেক প্রকার স্নেহ ৰাক্য কহিয়া আশীৰ্ব্বাদ পূর্বক শিষ্য সহিত প্রব্রাজিক গৃহে গমন করিল। পরদিন পিষ্ট মরিচ লিপ্ত এক খণ্ড মাংস হস্তে করিয়া পুনৰ্ব্বার দেবস্থিতার গৃহে গমন ক, রিল এবং দ্বারস্থিত কুকুরীকে সেই মাংস প্রদান করিল। গুনী মাংস ভক্ষণ করিবণমাত্র মরিচ দোষে তাহার ছুই নয়ন হইতে অনবরত অসুনিৰ্গত হইতে লাগিল। তখন যোগকরণ্ডিকা দেবস্মিতার গৃহ মধ্যে প্রবেশ করিয়া রোদন করিতে করিতে কহিল, দেবস্মিতে ! দেখ তোমার দ্বারস্থিত শুনী কল্য অামাকে চিনিতে পারে নাই, আদ্য দেখিবা মাত্র রোদন করিতে আরম্ভ করিল এবং আমিও উহাকে চিনিয়া মনোদুঃখে কাতর হইয়া ক্ৰন্দন করিতেছি। ইহা শ্রবণ করিয়া দেবস্মিতা বাহিরে দৃষ্টিপাত্ত করত কুকুরীকে নয়ননীরে ভাসমান দেখিয়া আশ্চর্য বোধে জিজ্ঞাসা করিল, ইহার কারণ কি সবিশেষ ব্যক্ত কর । ইহাতে প্রব্রাজিক কহিল, পূৰ্ব্ব জন্মে আমি আর এই কুকুরী উভয়ে সপত্নী ছিলাম, এক ব্রাহ্মণ জামাদিগের স্বামী ছিলেন, তিনি রাজার দৌত্য কৰ্ম্মে নিযুক্ত থাকিয়া নিরন্তর দেশান্তরে যাতায়াত করিতেন, প্রায় গৃহে অবস্থান করিতেন না। তাহাতে আমি প্রিয়োপভোগে ৰঞ্চিত হওয়াতে ক্রমে ক্রমে আর কোন পুরুষ
