পাতা:বেণীসংহার নাটক - রামনারায়ণ তর্করত্ন .pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্যাখ্যায়িক { * } ও কহিলেন, মহারাজ, বিরাটরাজাকে সাহায্য দিতে যুদ্ধে অর্জুন আসিয়া আপনাকেই অন্বেষণ করিতেছে। দুৰ্য্যোধন পরমাছাদিত হইয়া কহিল তবেই আমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইল, এ অজ্ঞাতবাসবৎসর, ইহার মধ্যে যদি অৰ্জুনকে দেখা পাওয়াগেল তবেই তো পঞ্চ পাণ্ডবকে পুনর্বার দ্বাদশ বৎসর বনবাসে গমন করিতে হইবে। অনন্তর দ্রোণাচার্ষ্য গণনা করিয়া কহিলেন মহারাজ, পাগুবদিগের অজ্ঞাত বৎসর অতীত হইয়াছে, এই কথায় দুৰ্য্যোধন বিষমবিষাদিত হইল, ও যুদ্ধে ভঙ্গ দিয়া প্রাণ ভয়ে সসৈনো হস্তিনায় পলায়ন করিল ! অৰ্জুন জয়লাভ করিয়া উত্তরের সহিত বিরাটরাজ র রাজধানীতে প্রত্যাগমন করিলে বিরাটরাজ অৰ্জুনের তি সাতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন, পরে উত্তরের মুখে ছদ্মবেশী পঞ্চপাণ্ডবের ও সৈরেস্ত্রীরূপ দ্রৌপদীর পরিচয় প ইয়। চমৎকৃত হইলেন, এবং অস্থাকে অপরাদ্ধজ্ঞানে অপেনাদিগকে অযুক্তকৰ্ম্মে নিযুক্ত করিয়াছি বলিয়। র্তাহাদিগের নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন। যুধিষ্ঠির নানাবিধ মিষ্টবাক্যে ঐ অ! শ্ৰয়দাতা বিরাটরাজ কে পরিতুষ্ট করিয়া উহার আলয়ে কিছুদিন প্রকাশ্যরূপে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন ; বিরাটরাজ পাগুবদিগের অনুগ্রহ থাকে এই অভিপ্রায়ে অৰ্জ্জুনের পুত্র অভিমত্যুর সহিত নিজ নন্দিনী উত্তরার বিবাহ নিৰ্বাহ করিলেন । কিয়দিবস পরে পাগুবের। আপনাদিগের রাজ্য পুনঃপ্রাপ্তি জন্য হস্তিনায় দূত প্রেরণ করিলেন, তাহাতে ভীষ্ম