পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ নহে, মানুষ নহে, জীবও নহে। ব্ৰাহ্মণ দেখিলেই তাহাদের জাতি নাশ ক’রে, পইতা ছিড়ে দেয়। আচার মানে না, বিচার মানে না। পঞ্জাব ইঙ্গাদের জালায় ব্যতিব্যস্ত। ইহারা বরাবর পঞ্জাব লুঠ করিয়াছে, কাশ্মীর লুঠ করিয়াছে, অনেক ব্ৰাহ্মণপণ্ডিকে উৎসন্ন দিয়াছে। অনেকে প্ৰাণ লইয়া বিদেশে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন। শ্ৰীচরি৷ পণ্ডিত দেশত্যাগী, তাহার পুত্ৰ দেশত্যাগী, কত কত পণ্ডিত যে কাশ্মীর ত্যাগ করিয়াছেন, তাহার ইয়াত্তা নাই। অমন যে আমাদের তীর্থ জালামুখী, তাহা লুঠিয়াছে, ধ্বংস • করিয়াছে। যে নগরকোটের ব্ৰাহ্মণের আভিজাত্যে সমান্ত বাহ্মণের অগ্রগণা, যাহাদের হাতে ভাত খাইতে কেহই আপত্তি করিতে পারেন না, সেই নগরকোট এখন শ্মশান ভাইয়াছে। এই কি সময় রাজসভা করিয়া গুণের পুরস্কার দিবার ? এ সময় যদি সকলে প্ৰাণপণে আত্মরক্ষণ না করেন, তবে ২।৫ বছরের বধো আপনারাই কোথায় থাকিবেন, তাহার ঠিকানা নাই,--আবার আপনাদের গুণ ? এখন কেবল সাজসজ্জা, কেবল রণসজ্জা । আমি আনহিল গিয়াছিলাম, শাকম্ভরী গিয়াছিলাম, ধারায় গিয়াছিলাম, ত্রিপুরী গিয়াছিলাম, খাজুরাহা গিয়াছিলাম, দিল্লী গিয়াছিলাম, কনৌজ গিয়াছিলাম, মাণ্ডোর গিয়াছিলাম। কিন্তু আমার বড় একটা বিকাবাকী করিতে হয় নাই। পাঞ্জাব হইতে, কাশ্মীর হইতে, নাগরকোট হইতে, থানেশ্বয় হইতে পলাতক সৰ্ব্বস্বান্ত লোকজন আসিয়া আমার সব কাজ করিয়া দিয়াছে। দু’এক জায়গায় আমায় বাঙনিস্পত্তি করিতে হয় নাই। ইঙ্গারাই আমার কােজ সারিয়া রাখিয়াছিল। ওদিকে আপনি আর যাইবেন না, সমস্ত দেশের লোক এক-তাড়ি এক-প্ৰাণ হইয়াছে। দেখুন, রাজপুতেরা যদি রক্ষা না করিত, কাসিমের পুত্ৰ মহম্মদ সিন্ধু জয়ু করিয়া ঐ পথে বরাবর অনেক দুর আসিয়া পড়িত ? তাহারা তিন শত বৎসর ধরিয়া এক প্ৰান্ত রক্ষা করিতেছে । আবার আর এক, প্ৰান্তে বিপদ R o NSD