পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ রাজা এক এক খণ্ড সোনা লইয়া প্ৰজ্ঞাদেবীদের চাদরে দিতে লাগিলেন। প্ৰজ্ঞাদেবীদের পর উপায়-দেবগণকেও এক এক টুকরা সোনা দিলেন, তাহার পর কৰ্ম্মচারীদিকে ইঙ্গিত করিলেন- “তোমরা দানের সামগ্ৰী সব বুদ্ধ বোধিসত্ত্ব দেবদেবী ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীদের দান কর।” নিমেষমধ্যে চারিদিকে লোক ছুটিল, সকলের চাদরই ভরিয়া গেল। তাহার পর যেখানে যেখানে যত সহজবৌদ্ধ ছিলেন, সকলকেই দান করিতে আরম্ভ করিলেন । দান চলিল-সমস্ত দিন চলিল, সন্ধ্যা পৰ্য্যন্ত চলিল । ভিক্ষুরা সেইখানে বসিয়াই আহার কবিল এবং স্তব পাঠ ও গান করিতে লাগিল ; ছড়া কাটাইতে লাগিল এবং নানারূপ গোল করিতে द्र5िव् । [ ७ ] রাজা দান আরম্ভ করিয়া দিয়াই গুরুদেবের নিকট গিয়া পহুছিলেন এবং গুরুদেবকে মহাবিহারে প্রবেশ করিতে অনুরোধ করিলেন । সকলের আগে গুরুদেব, পিছনে তঁাহার চেলা, তাহার পর দুজন পুরোহিত, তাহার পর রহীীস ও বণিকেরা, তাহার পর বিহারের বড় মিস্ত্রী, মন্দিরের বড় মিস্ত্রী, বড় ভাস্কর। সকলের শেষে রাজা। কিছু দুর গিয়া গুরুদেব প্ৰধান মিস্ত্রীকে দেখিতে চাহিলেন, সে রাজার অনুমতি লইয়া গুরুদেবের নিকট উপস্থিত হইয়া প্ৰণাম করিল। গুরুদেব জিজ্ঞাসা করিলেন, “বিহারের সীমা কতদূর ?” মিস্ত্রী বলিল, “উত্তরদিকে যেমন খাত দেখিয়াছেন, ইহার পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিমেও তেমনি খাত আছে। আর ঐ যে চারিদিকে ঘাসের চাবড়া দেওয়া পাচীল দেখিতেছেন, ঐ ইহার সীমা ।”

  • विश्ांद्भदांएंौ कछे ?”

SN)