পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে তাহার ব্ৰাহ্মণ-সখীকে দিবে; এই সব ঝিনুক লাগাইয়া সে ঠাকুরের পীড়ি করিয়া দিবে, এইরূপ ভাবিতেছে, আর কুড়াইতেছে । [ R ] বিধাতা যে এই সময়ে তাহার ঘোর বিপদ আনিয়া দিবেন, সে তাহা মনেও করিতে পারে নাই। সে ঝিনুকটি কুড়াইতেছে। এমন সময় দূর থেকে একটা কি গোলমাল শুনা গেল। সে তাহা গ্ৰাহ ও করিল। না । তাহার পরই “শিয়াল শিয়াল” শব্দ শুনা গেল, তখন তাহার আগের দিনের কথা মনে পড়িয়া গেল, তবে ত বাঘ এসেছে । সে একবার চারিদিক চাহিল, যেমন পিছন ফিরিবে, অমনি দেখিল, প্ৰকাণ্ড বাবা! দেখিয়াই ত সে আড়ষ্ট ; পরীক্ষণেই মুচ্ছ। দূরে অনেক লোক ছুটিয়া আসিতেছে ; কিন্তু বালির উপর দিয়া ছোট আর স্বপ্নে ছোট LBD BB S DDBDB LS DBDD DLDD BDB DS DDDBDDuB নামিয়াছিল, সকলেই মেয়েকে রক্ষা করার জন্য ছুটিতেছে-উত্তর, পশ্চিম পুব হইতে ছুটতেছে ; কিন্তু কেহই নিকটে আসিয়া পহুছাইতে পারিতেছে না । “uগল গেল” বলিয়া চীৎকার করিতেছে । “বিহারী দত্তের মেয়েকে বুঝি বাঘে নিলো! আমাদের মায়াকে বুঝি বাঘে নিলে!” শব্দটা বেহারীর কানে গেল। সে উঠিয়া দেখিল, মায়া বিছানায় নাই । চীৎকার করিয়া বাহিরে আসিয়া পড়িল, এই পড়ে তা এই পড়ে করিয়া নৌকা হইতে লাফাইয়া ডাঙ্গায় পড়িল, সিঁড়ি কোথায়, তাহার খোজ ও লাইল না। বিহারীর বৌ লজ্জা-সরমের মাথা খাইয়া স্বামীর পিছনে পিছনে ছুটিল। ছুটিয়া কি করিবে ? বালিতে কি পা উঠান যায় { প্ৰাণপণে ছুটিতেছে অথচ যেখানকার, প্ৰায় সেইখানেই আছে। বাধ ধীরে ধীরে মেয়ের কাছে গিয়া তাহার প্রতি লক্ষ্য করিয়া থাবা গাড়িয়া 8