পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অধ্যায় : তৃতীয় পাদ। (Vo erettysportefef"scrette "CVSw5 || Sheev" | শ্রবণ এবং অধ্যয়নের অনুষ্ঠানের নিষেধ শূদ্রের প্রতি আছে অতএব শূদ্র অধিকারী না হয় এবং স্মৃতিতেও নিষেধ আছে। এ পাঁচ সূত্র শূদ্র অধিকার বিষয়ে প্রসঙ্গাধীন করিয়াছেন ৷ ১৩৩৮ ৷৷ धैक-गूद्ध ৩৪-৩৮। এই পাঁচটী সূত্রে শূদ্রের ব্ৰহ্মবিদ্যার অধিকার আছে কি না, তার বিচার করা হইয়াছে। ছান্দোগ্য উপনিষদের চতুর্থ অধ্যায়ে বর্ণিত জানশ্রুতি ও রৈকের আখ্যায়িকা হইতে গৃহীত বিষয় অবলম্বনে এই সূত্রগুলি রচিত। জানশ্রুতি নামে বিখ্যাত রাজা বহু দান করিতেন এবং সকলের ভোজনের জন্য সর্বত্র অন্নসত্ৰ স্থাপন করিয়াছিলেন । একদিন রাজা প্রাসাদের উপরে মুক্ত আকাশের নীচে শয়ন করিয়াছিলেন ; হংসগণ উড়িয়া আসিতেছিল, পশ্চাৎস্থিত হংস। অগ্রগামীকে সতর্ক করিয়া বলিল, জানশ্রুতির প্ৰভা দু্যলোক পৰ্যন্ত প্রসারিত, তাহা লঙ্ঘন করিলে দগ্ধ হইতে হইবে। অগ্রগামী হংস বলিল যে সমুগ্ধা (ছোট শকটযুক্ত) রৈক হইলে এই উক্তি সঙ্গত হইত, এই রাজার সম্বন্ধে একথা যুক্তিযুক্ত নহে। পশ্চাদ্বতী হংস জিজ্ঞাসা করিল, সমুগ্ধ রৈক কি প্রকার। অগ্রবর্তী হংস বলিল, প্ৰাণিসকল যতকিছু পূণ্য অর্জন করে সেই সবই রৈকের পুণ্যের অন্তভুক্ত হয় ; রৈক BDD DBDDS DBDBBB SLDBD DBBBB DDD DDD D DD S SKBB রাজা রৈকের সন্ধানে নিজের রথচালককে বলিলেন “আরো অঙ্গ, (বৎস ) রৈককে বল, আমি তাহাকে দেখিতে চাই”। রথচালক সন্ধান করিতে করিতে দেখিলেন, এক গ্রামে ক্ষুদ্র শকটের নীচে শয়ন করিয়া এক ব্যক্তি গাত্র কণ্ডুয়ন করিতেছে ; জিজ্ঞাসা করিয়া, রথচালক জানিলেন, তিনিই রৈক। তিনি ফিরিয়া আসিয়া রাজাকে জানাইলেন। পরদিন রাজা বহু গাভী, খচ্চরবাহিত রথ, কণ্ঠহার ইত্যাদি আনিয়া রৈককে অৰ্পণ করিলেন এবং উপদেশ প্রার্থনা করিলেন ; রৈক রাজাকে বলিলেন “আরে শূদ্ৰ, তোমার গাভী ইত্যাদি তোমারি থাকুক”। এই শূদ্র শব্দের উল্লেখের জন্যই শূদ্রের অধিকার আলোচিত হইয়াছে। (ক) হংসের মুখে অনাদরাসূচক বাক্য শুনিয়া জানশ্রুতির শোক উৎপন্ন হইয়াছিল। সর্বজ্ঞ রৈক তাই রাজাকে শূদ্র অর্থাৎ শোকগ্ৰস্ত বলিয়া সম্বোধন করিয়াছিলেন । বস্তুতঃ জানশ্রুতি ক্ষত্ৰিয় ছিলেন ।