পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 הכ8 ] এই সময় সূৰ্য্যসদৃশ তেজস্ব এক প্রত্যেকবুদ্ধ আকাশপথে তথায় আসিয়া রাজার নিকট ভোজন প্রার্থনা করিলেন । ১৭। রাজা সেই প্রাণসংশয়কালে কোনরূপ বিচার না করিয়া নিজের প্রাণধারণের উপায়স্বরূপ সেই অন্ন-সমুদয় প্রসন্নচিত্তে র্তাহাকে দান করিলেন । ১৮ । প্রত্যেকবুদ্ধ ঐ অন্ন দ্বারা নিজের প্রাণ ধারণ করিয়া প্রসন্নচিত্তে রাজার সত্ত্বশীলতার প্রশংসা করিতে করিতে আকাশমার্গে চলিয়া গেলেন । ১৯ । অতঃপর আকাশরাপ মহাগজের নীলক্ৰমরপংক্তি-শোভিত মদরেখার নায় ও দিগধূর কপোলবৰ্ত্তী কালাগুরুচন্দন-রচিত মঞ্জরীর ন্যায় পশ্চিমদিকে প্রলম্বিত মেঘমাল| উদিত হইল। ২০ । তৎপরে সমস্ত গগনান্তরাল উৎফুল্ল নীলোৎপলবনসদৃশ হইয়া উঠিল এবং ভৃঙ্গরাশিসদৃশ জলপূর্ণ মেঘমণ্ডলে আচ্ছাদিত হইল। ২১ । তৎপরে সপ্তাহকাল অনবরত প্রজাগণের অভিমত সকল প্রকার খাদ্য বস্তুর বৃষ্টি হইল। তৎপরে ধান্যাদি বৃষ্টি এবং তদনন্তর যথাক্রমে द्रङ्गानेि ध्रेि झञ्झुल ।। २२ ।। রাজগণের মুকুটমণির ন্যায় শোভমান রাজা কনকবর্ণ এইরূপে প্রজাগণের প্রাণরক্ষা করিয়া পুণ্যসম্পদে প্রণিত হইলেন। সজ্জনের প্রভাব পরহিতার্থেই নিযুক্ত হয়। ২৩ । এই যে কনকবর্ণ রাজার কথা বলিলাম, আমিই সেই কনকবর্ণ ছিলাম। এখন আমি এই দেই ধারণ করিয়াছি । ভগবান জিন এই কথা বলিয়া ধামান স3ঞ্জনগণেব ধৰ্ম্মদেশনা করিলেন । ২৪ । ইতি কনক বর্ণবদান নামক দ্বিচহ্লাবিংশ পল্লব সমাপ্ত ।